কিছুক্ষণ পরেই শুরু হবে মহালয়া। আশ্বিনের শারদ প্রাতে…। প্রতি বারের মত এবারও বাড়ির দাদু ঠাকুমারা খোঁজ করছেন রেডিওর। বাড়ির পুরনো রেডিওটা ঠিকমত
চলছে কিনা দেখে নেওয়া।
এর থেকে বোঝা যায় বর্তমানে স্মার্টফোন ও ডিজিট্যাল ইন্ডিয়ার যুগেও রেডিও পাল্লা দিচ্ছে। বারো মাস চাহিদা না থাকলেও মহালয়ার ভোরে আজও রেডিওর বিকল্প নেই বাঙালির কাছে। ভোরে রেডিওতে মহালয়া শোনা নষ্টালজীয়া বাঙালির কাছে।
তাইতো মহালয়ার আগে রেডিও সারাই হচ্ছে চল চয়যথেষ্ট। এই দেখে বোঝা যাচ্ছে রেডিওতে মহালয়া শোনার রীতি এখনো নষ্ট হয়ে যায় নি।
ছোট বেলায় মহালয় আসলে বাবা ঠাকুরদাদের দেখতাম রেডিও পরিস্কার করছে। তাড়পর মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার সুরালো গান। গ্রামের বড় ছোট থেকে বাবা ঠাকুরদা ও মা কাকিমারা রেডিওতে মহালয়ার গাম শুনতেন। মাঝে ডিজিট্যাল সময় আর করোনা আবহে তার তার চাহিদা যথেষ্ট কমে গেছে। বর্তমানে এই বছর রেডিও বিক্রিয় বেড়েছে বলে জানাচ্ছে বিক্রেতারা। বিক্রেতার দাবি পূজো মরশুম পরতেই রেডিও সারাই ও বিক্রির চাহিদা বর্তমানে বেড়েছে। বিগত বছরের তুলনায়। যার ফলে দোকানে ভীড় বারছে। বয়স্কোদের বক্তব্য যথই ডিজিট্যাল ব্যবস্থা রেডিওতে মহালয়া শোনা আলাদা ভাবনা। এক সময়ে বাড়িতে রেডিও থাকা মানৈ অনেক কিছু। এখন যথেষ্ট কম।
অনেকের বাড়িতে এখনও আছে সেই রেডিও। অনেকে আবার ভাঙাচোরা জিনিসপত্রের সঙ্গে কবেই বাড়ি থেকে বিদায় করে দিয়েছেন একসময়ের সাধের রেডিওকে। তবে মহালয়ার ঠিক আগের দিন খোঁজ পড়ে সেই রেডিওর। অনেকের বাড়ির রেডিওই বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে অনেকদিন। আর সারানোর তাগিদ অনুভব করেননি কেউই। এভাবেই হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে বঙ্গজীবনের হারিয়ে যেতে বসা এই অঙ্গ।
সেই আলো না ফোটা ভোরবেলায় পাশের বাড়ি থেকে ভেসে আসত মহিষাসুরমর্দিনীর সুর। তার মানে পুজো এসে গেল। ঘুম চোখে এবার বাড়ির রেডিওটা অন করার পালা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই শনিবার দেখা যায় রেডিও, টিভির দোকানে ভিড় জমতে শুরু করেছে। অনেকেই চাইছেন তাড়াহুড়ো করে রেডিওটা সারাই করে নিতে। কেউ কেউ আবার কম পয়সায় রেডিও