২০২৪ এর মাধ্যমিকে মালদহ শহরকে টেক্কা দিল কালিয়াচকের আবাসিক মিশনের চার ছাত্র

Newsbazar24:২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল আজ বৃহস্পতিবার বেরিয়েছে। চলতি বছরে মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। তার আগেই ফল প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ বছর রাজ্যে ন’লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছিল।
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও সকালের দিকেই মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ কর্তৃক মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবারে মালদা জেলায় শহরের স্কুলগুলোকে টেক্কা দিয়ে
মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছেন কালিয়াচক আবাসিক মিশনের চারজন মেধাবী ছাত্র। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে কালিয়াচকের মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন আলী, বিশাল চন্দ্র মন্ডল, আমিনুল ইসলাম ও বিশাল মন্ডল প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে। তারা যথাক্রমে রাজ্যে ষষ্ঠ, নবম, নবম ও দশম স্থান অধিকার করেছ। জেলায় প্রথম আর রাজ্যে ষষ্ঠ হয়েছে শাহাবুদ্দিন। সে এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। তার বাবা সৈফুদ্দিন আহমেদ চাষবাস করেই রোজগার করেন। আর সেই টাকা দিয়েই ছেলেকে পড়াশোনা শেখাচ্ছেন তিনি। মা শিউলী খাতুন একজন গৃহবধূ। শাহাবুদ্দিনের তিন
ভাইবোন রয়েছে। বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় সে।
শাহাবুদ্দিন ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার বসেছিল মালদহ জেলার কালিয়াচকের একটি আবাসিক মিশন থেকে । পড়াশোনার পাশাপাশি বই পড়তে আর ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে সে। সে জানিয়েছে, ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে প্রতিদিন ৬ ঘন্টা থেকে ৭ ঘন্টা পড়াশোনা করত। ভালো ফলাফল করার উপায় জানতে তাকে প্রশ্ন করা হলে, সে জানায় ভালোভাবে পাঠ্য বই পড়লেই নম্বর পাওয়া যায়।
একই আবাসিক মিশন থেকে পড়াশোনা করে মোজমপুর হাজী শেখ সুভানি বিশ্বাস হাই স্কুলের পড়ুয়া আমিনুল ইসলাম ২০২৪ মাধ্যমিকে ৬৮৫ নম্বর পেয়েছে। আমিনুল কৃষক পরিবারের সন্তান। তার বাবা নুরুল ইসলাম একজন চাষী আর মা মেহবুবা একজন আইসিডিএস কর্মী। সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়।
একই নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছে মালদহের আরে মেধাবী ছাত্র। সেও ঐ হাই স্কুলের পড়ুয়া। ৬৮৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম হয়েছে বিশাল চন্দ্র মন্ডল। তার বাবা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সেও বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। এই একই স্কুলের আরেকজন পড়ুয়া বিশাল মন্ডল ৬৮৪ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে। সে কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। তার বাবা একজন বিএসএফ কর্মী। বিশাল জানিয়েছে সে বড় হয়ে ডাক্তার হবে।