news bazar24: কলকাতার বড় প্রিয় মানুষ প্রখর রুদ্র। প্রখর রৌদ্র অবশ্য শহরের প্রিয়” তালিকায় একেবারেই নেই। কিন্তু না থাকলে কী হবে? এই মুহূর্তে কলকাতা“প্রখর রৌদ্রে”র কবলেই। মুক্তির আশা নেই। এক বিন্দু বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। সুতরাং দারুণ ‘আগ্নিবাণ” আর পদীর্ঘ দগ্ধ দিন” বৈশাখি-সম্বল। এমন আবহে ভরদুপুরে অনুশীলন! কীভাবে সম্ভব? কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্র্যাকটিস সূচি দেখে প্রশ্নটা স্বাভাবিক। কিন্তু কেকেআর যেন নিরুত্তাপ ! ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে তিনটে, একে একে মাঠে নেমে
তারপরটানা আড়াই-তিন ঘণ্টার অনুশীলন। পুরনো কয়লার ওপর খালি পায়ে নাচতে বলত। নায়কের প্রাণ ভিক্ষের বিনিময়ে। অনেকটা তেমনই গনগনে আঁচে নারাইনরা নিজেদের পরখ করলেন। আরসিবি মোকাবিলার আগে। যে রোদে একটানা তাকিয়ে থাকতে কষ্ট হয়, সেই রোদে প্যাড-গ্লাভস, ব্যাট হাতে প্রস্তুতি! শরীর জুড়ে ঘামের স্লোত। তবু নেটে একের পর এক শট প্যাকটিস। ভুল-চুক হলে পরমুহূর্তে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা। যতক্ষণ না পারফে্ট শট হচ্ছে। বোলাররাও অনুশীলন সারলেন জোর কদমে। স্পট বোলিং অনুশীলনও চলল নেটে। অনুশীলনের আড়াই-তিন ঘণ্টার সূচিতে হাজার হাজার মুহূর্তেরজন্ম হল। কিন্তু কিছু মুহূর্ত “বিশেষ”_এর মর্যাদা পেল।
বিশেষ মুহূর্ত ১
নারাইন যখন গুরুমশাই। হর্ষিত রানা এবং বরুণচত্রবর্তীর। বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটালেন দুই অনুজের সঙ্গে। বল হাতে নিয়ে অনেক কিছু বললেন, বোঝালেন। কনুই ভাঙা, ওঠা-নামা খুঁটিনাটি সব যেন ঝালিয়ে দিলেন। পরীক্ষার আগে। গুরুমশাইয়ের কথা মন্ত্ুগ্ধ হয়ে শুনলেন দুই ছাত্র। নাহ্, সতীর্থ।
বিশেষ মুহূর্ত ২
হেড স্যর, মেন্টর। গৌতম গম্ভীর। যিনি কথা কম, কাজেবিশ্বাসী। এদিন শুরু থেকে শেষ কখনও আলাদা করে কথা বললেন নারাইনের সঙ্গে । কখনও চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে। কখনও শ্রেয়স আয়ারের সঙ্গে। প্রতিটি আলোচনাই গভীর। গম্ভীর।
প্রস্তুতকারক সুজন মুখার্জির নজরদারিতে। হঠাৎ দেখা গেল ধুলো উড়ছে। মাঠকর্মীরা পিচে বাঁট দিতে শুরু করলেন। দেখা মাত্র পিচ কিউরেটরের দিকে এগিয়ে গেলেন কেকেআর-এর কোচ এবং মেন্টর। তারপর আলোচনা যেন থামতেই চাইছিল না!
বিশেষ মুহূর্ত ৪
হঠাৎ গোল টেবিল বৈঠক! এবার কোচ, ক্যাপ্টেন, মেন্টরের। রবিবারের ম্যাচের কৌশল কী হবে, তা কিমধ্য-মাঠেরটিম মিটিংয়েই ঠিক হয়ে গেল? নাকি
কোচ আর মেন্টর? হতে পারে দুটোই।
বিশেষ মুহূর্ত ৫
ডান হাতে দুটো, বাঁ হাতে আরেকটি। মোটতিনটি ব্যাট নিয়ে নেটে ঢুকলেন আন্দ্রে রাসেল। তার আগে ওয়ার্ম আপ, স্ট্রেচিং সেরে। ব্যাট হাতে নিজের পছন্দের কিছু শট প্র্যাকটিস করে বেরিয়ে এলেন। মুহূর্তে অন্য নেটে। নিজেকে তৈরি রাখার অনুশীলনে একাগ্র। মগ্র।
বিশেষ মুহূর্ত ৬
ঘড়ির কাঁটা ততক্ষণে সাড়ে পাঁচটায় গোঁছে গিয়েছে। মাঠের দড়ি টপকে ঢুকে পড়লেন দুধ সাদা গেঞ্জি আর নীল ট্র্যাক প্যান্ট পরা একজন। এগিয়ে গেলেন ঠিক পিচের কাছে। তারপর পরখ করার পালা চলল। তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে গেলেন গৌতম গল্ভীর।তারপর আলোচনার বলয়ে ঢুকে পড়লেন দু’জনে! এই আগন্তক কে?
কোচ। দুপুরে শহরে পৌঁছেই চলে এসেছিলেন ইডেনে। পিচ দেখতে । যখন তিনি ইডেন ছাড়লেন, ততক্ষণে শহরে পৌঁছে গিয়েছেন রবিবারের ম্যাচের মূল আকর্ষণ বিরাট কোহলি। যাঁর জন্য টিকিটের হাহাকার।