newsbaxar 24 ::কিছুদিন স্বস্তি দিয়ে আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনার প্রকোপ। আমেরিকা, ব্রিটেন সহ গোটা বিশ্বে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা । বাদ পড়ছে না আমাদের দেশ ও । নতুন বছরের শুরুতেই তাই সবার কপালেই চিন্তার ভাঁজ । করোনার নতুন এই প্রজাতি ওমিক্রন কি ডেল্টার মতোই ভয়ানক ? প্রশ্ন সকলের ।
এরই মাঝে করোনার নয়া এই রূপ ওমিক্রন নিয়ে ইজরায়েলের চিকিৎসক যা বললেন তাতে আশার আলো দেখছেন বিশ্ববাসী । ওনার মতে -“ওমিক্রন আসলে একটি ভ্যাকসিন। এই ভ্যাকসিন কোনও সংস্থা বানাতে পারেনি। অক্সিজেন লাগে না, সঙ্কট নেই, হাসপাতালের প্রয়োজন কম। এটা তৈরি করবে গণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ডেল্টার জায়গা নিয়ে নেবে ওমিক্রন । ৮-১২ সপ্তাহের মধ্যে গোটা বিশ্বে টিকাকরণ হয়ে যাবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রকৃতির কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। এটা আসলে একটা আশীর্বাদ”। টুইটারে প্রকাশিত এই খবর দেখে অনেকেই তাই ভরসা পাচ্ছেন ।
আফসাইন এমরানির সঙ্গে একমত কলকাতার বহু চিকিৎসক। কোভিড বিশেষজ্ঞ এক চিকিৎসক জানান “ওমিক্রন একটা মাইল্ড ডিজিজ। যারা ইতিমধ্যে ডেল্টায় ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তারা লক্ষ্য করেছেন সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে শরীরে অক্সিজেন কমতে থাকে। ওমিক্রনে আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক থাকছে । যদি অক্সিজেন কমে যাওয়ার দিকে না যায় এবং ওমিক্রনে আক্রান্তরা একটা ইমিউনিটি পেয়ে যেতে পারি। কোভিড হয়ে সবার শরীরে খাটি ইমিউনিটি তৈরি হয় এবং আমরা ভ্যাকসিন পেয়েছি। ফলে মিশ্র ইমিউনিটি তৈরি হলে, এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে।”
ডাক্তার সায়ন চক্রবর্তী যিনি এখন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করছেন তাঁর মতেও কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেও ডেল্টার প্রভাব ছিল অনেক বেশি।তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় যা দেখেছি তা থেকে বলা যায়, ডেল্টা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর এবং তখন আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি ছিল “। তুলনামূলক ভাবে ওমিক্রনের প্রভাব অনেকটাই কম । মৃদু উপসর্গ যেমন সরদি,জ্বর, গায়ে ব্যাথা নিয়ে সবাই ভুগছে । খুব বেশি সমস্যা না হলে সবাইকে বাড়িতে থেকে সুস্থ হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা । তবে কিছু দিন গেলেই আরও পরিষ্কার হওয়া যাবে ।
আরেক চিকিৎসক ডাক্তার সুদীপ্ত সাহা জানান যে কয়জন করোনায় আক্রান্ত রুগীর চিকিৎসা করেছি তাদের সকলের মধ্যেই মৃদু উপসর্গ ছিল । হালকা জ্বর, সর্দি ও কাশি ছিল। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা সঠিক ছিল। সুতরাং এই ওমিক্রণ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বিদেশেও দেখা যাচ্ছে ওমিক্রণ মৃদু উপসর্গযুক্ত। কিন্তু ছড়ায় খুব তাড়াতাড়ি। ডেল্টার মত অত ভয়ঙ্কর নয়।