Newsbazar 24:-রাজ্য সরকার উত্তরবঙ্গের দুই মেডিকেল কলেজ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ইমার্জেন্সি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে উত্তরবঙ্গবাসী। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে মালদহ বাসী সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গবাসী খুবই খুশি।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরী ক্ষেত্রে রোগীর প্রাণ সংশয় দূর করার জন্য দ্রুত চিকিত্সা পরিষেবা শুরু করতে এই ব্যবস্থা ব্যাপক কাজে আসবে, পাশাপাশি বহু রোগীর প্রাণ বাঁচানো যাবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ রাজ্যের ১১টি মেডিক্যাল কলেজে চালু করা হবে।এর মধ্যে রয়েছে,কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ও উত্তরবঙ্গের মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।
এই ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসক ডাঃ সুদীপ্ত লাহিড়ী জানান, সময়ে সময়ে জরুরি বিভাগে এমন এমন রুগী আসেন,যাঁদের দ্রুত অক্সিজেনের প্রয়োজন বা অপারেশনের প্রয়োজন হয়। আবার পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে কেউ হাসপাতালে এলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ এলেও সেই রোগীর দ্রুত চিকিত্সা পরিষেবা শুরু করার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে জরুরি বিভাগের চিকিত্সকরা প্রাথমিকভাবে রোগীকে চিকিত্সা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে রেফার করে দেন। এর ফলে সেই বিভাগে রোগী পৌঁছানোর পরে চিকিত্সক এসে তাঁকে দেখতেই অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়। বহু ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হয়। এই ব্যবস্থা চালু হলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার চিকিত্সা শুরু করে দেওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে তিনি জানান।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে,এই বিভাগে মোট ১৩২ জন অধ্যাপক চিকিত্সককে নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। পূর্ণাঙ্গ এই বিভাগ তৈরির জন্য প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজেই প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর থেকে শুরু করে নতুন ১২টি পদ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডাঃ পুরঞ্জয় সাহা জানান,আমাদের এই নতুন বিভাগের জন্য ৫০ টি শয্যা তৈরি আছে। যতদিন না এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক কাজে যোগ দিচ্ছেন ততক্ষণ মেডিসিন বিভাগের চিকিত্সকরাই রোগী দেখবেন।’