Panchayat Election:নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে হাইকোর্টের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার হুমকি!

Newsbazar 24:বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র জমা কে কেন্দ্র করে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় উত্তেজনগর পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ সিপিএম সমর্থকের। ভাঙ্গরে সকাল থেকে চলছে, বোমাবাজি গুলি ঘোলা। জানা গেছে আইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। দ্বারা ভিডিও অফিস ঘেরাও করেছেন। এরই মধ্যে গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারা প্রার্থীরা মামলা করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। বিচারপতি নির্দেশ দেন
কাশীপুর, ভাঙড়, ক্যানিংয়ে আইএসএফ, বিজেপি, বাম, কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা কাটাতে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।। মনোনয়নে ইচ্ছুকরা তাঁদের জমায়েত স্থান জানাবে স্থানীয় থানাকে। তার প্রেক্ষিতে স্থানীয় থানা মনোননয়ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেবে।
অন্যদিকে, পঞ্চায়েতের ভোট নিয়ে দায়ের করা এক জনস্বার্থ মামলায প্রধান বিচারপতির টি এস শিবাজ্ঞনম ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিচারপতি বলেন, “আদালত জানতে চায় কমিশন চাইছেটা কী? নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হয় আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ করুক কমিশন, না হলে নির্দেশে অসন্তুষ্ট হলে উচ্চতর আদালতে যাক। এভাবে চলতে পারে না। রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।” প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের আরো নির্দেশ আপনাদের হাতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের নির্দেশকে কার্যকর না করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেন, তাহলে আমরা নিশ্চুপ দর্শক হয়ে বসে থাকবো না। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “গত পরশু আইএস এফ প্রচুর সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন পেশ করতে গিয়ে মনোনয়ন কেন্দ্র ভাঙচুর করেছে। বিজেপির দুই নেতা দুই জেলায় অশান্তি তৈরি করেছে। গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপি সহ বিরোধীরা অশান্তি তৈরি করছে।” তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, “১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। পুলিশ পদক্ষেপ করুক। আমি সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেব কি ?”