Malda:সাফাই কর্মীর কাজের বিনিময়ে ৩৫ হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ, গ্রেফতার এক এজেন্ট

Newsbazar 24:রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ সহ, পুরসভা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে চাকরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কাজের বিনিময়েও টাকা তোলার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য মাথাপিছু ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির এক এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। ঐ যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন ইংরেজবাজারের পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী।
জানা যায়, এরকম নয় জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এমনকি টাকা না দিলে কাজ ছাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে এজেন্সির মাধ্যমে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশকিছু সাফাই কর্মীর করোনা কালে কাজ চলে যায়।
সম্প্রতি এজেন্সির মাধ্যমে ওই অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের ফের কাজে নিযুক্ত করা হয় । কিন্তু এবার তাদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে দাবি করা হয়। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক। এজেন্সির কথায় টাকা তোলা চলছিল দাবি ওই কর্মীর। ঘটনার তদন্তে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
এক সাফাই কর্মীর স্বামী বলেন,আমার স্ত্রী মালদহ মেডিক্যাল কলেজে অস্থায়ী সাফাই কর্মীর কাজের কাজে যুক্ত। আমরা খুবই গরীব। কিন্তু ৩৫ হাজার টাকা না দিলে কাজ ছাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, “আমার আমার কাছে আমার ওয়ার্ডের কিছু যুবক অভিযোগ করেছে, বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে হাসপাতালে কাজ দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে । অভিযোগ জানার পর ফোন মারফত এজেন্টকে চিহ্নিত করে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে ওই যুবক। হাসপাতালে নিযুক্ত ঠিকাদারি এজেন্সির হয়ে টাকা তুলছিল বলে জানায় সে। ঘটনার তদন্তের জন্য ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।