Malda: ওয়ার্ড স্থানান্তর করতে রোগীর পরিবারের কাছে টাকা দাবি হাসপাতাল কর্মীর, গ্রেপ্তার ওই কর্মী

Newsbazar 24: মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, একশ্রেণীর কর্মচারী টাকা নিয়ে বিভিন্ন কাজকর্ম করে দিচ্ছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালালদের ছড়াছড়ি।
রোগীকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে পরিবারের কাছে টাকা দাবি করার অভিযোগে মেডিক্যালের এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ তথা হাসপাতাল সুপার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে এক শিশুকে ভরতি করা হয়েছিল । সেখানেই দিন দুয়েক চিকিত্‍সা চলার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তরিত করে দেন চিকিত্‍সকরা।মাতৃমা বিভাগ থেকে পিকু ইউনিটের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার । বাচ্চাটিকে ট্রলিতে চাপিয়ে পিকু ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার পরিবারের কাছে ২০০ টাকা দাবি করেন এক অস্থায়ী কর্মী আনন্দ ঘোষ । কিন্তু বাচ্চাটির পরিবার আনন্দকে সেই টাকা দিতে রাজি হননি ।
আনন্দ তাঁদের জানান, টাকা না-দিলে তিনি রোগীকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে পারবেন না। শিশুর পরিবার প্রথমে রাজি হয়নি কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে শেষ পর্যন্ত টাকা দেন পিকু ইউনিটে শিশুটিকে নিয়ে যান আনন্দ । তার কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চাটি মারা যায় । গোটা বিষয়টি নিয়ে মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন । সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এমএসভিপি ইংরেজবাজার থানায় ওই কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে আনন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ । বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়েছে ।
মালদা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ পুরঞ্জয় সাহা জানান, “মেডিক্যালের অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে এক রোগীর পরিবার বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিল । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় । পুলিশ ওই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি তাকে সাসপেন্ড ও করা হয়েছে।