news bazar24: নান মাদল বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী। পৃথিবীতে হাজার হাজার বছর পূর্ব হতে শহর বন্দর গড়ে উঠেছে, এর মধ্যে কিছু শহরগুলো এখনো টিকে আছে, আবার কিছু শহর কালের আবর্তনে হারিয়ে গেছে। এরকমই এক হারিয়ে যাওয়া শহর যেটা গড়ে উঠেছিল রহস্য ঘেরা নান মাদল দ্বীপে।
প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব পাশে কয়েক হাজার দ্বীপ মিলে গড়ে উঠেছে বিশাল আকারের দ্বীপপুঞ্জ, যার নাম মাইক্রোশিয়া। মাইক্রোশিয়া দ্বীপপুঞ্জের পনপেই নামক দ্বীপের পূর্ব দিকে রয়েছে নান মাদল। এটি আস্ট্রলিয়া থেকে ১৬০০ মাইল ও লস এঞ্জেলস থেকে ২৫০০ মাইল দূরে অবস্থিত।নান মাদল নামের অর্থ মাঝখানের জায়গা। এর চারদিকে অসংখ্য খাল জালের মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই জন্য এই জায়গার এরূপ নাম হতে পারে বলে অনেক গবেষক ধারণা করেন।
ধারণা করা হয় এখানে ১০০০ জনের মত মানুষ বাস করত। আবার অনেকে মনে করেন সর্বোচ্চ ৫০০ এর মত মানূশ ছিল। এখানে সুসজ্জিত শহর ছিল। কেন মানুষ এত দূরে শহর গরে তুলেছিল আর কোনো আধুনিক সরঞ্জাম ছাড়া কিভাবে সুসজ্জিত নগর গড়ে তুলেছিল তা এক আশ্চর্যের বিষয়।নান
নান মাদল নিয়ে বহু ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করেন পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাওয়া মহাদেশ ‘মু’ এখানে ছিল। নান মাদলই মু এর অংশ কিনা তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায় নি। অনেকে মনে করেন ‘লেলুহ’ শহরটি যারা তৈরি করেছিল তারাই নান মাদল তৈরি করেছেন। তবে কার্বন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় নান মাদল অনেক বেশী পুরাতন। তাই উক্ত ধারণাটি সঠিক নয়।
মাঝ সুমুদ্রের মধ্যে এরকম একটা দ্বীপে কিভাবে মানুষ বেঁচে ছিল তা খুব আশ্চর্যের বিষয়। রেডিও কার্বন টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এ শহরের জন্ম। একসময় এ দ্বীপ জনশূন্য হয়ে যায়। কীভাবে জনশূন্য হয়ে যায় তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। তবে অনেকে ধারণা করেন নিরাপদ জল ও খাদ্যের অভাবে এ এলাকার মানুষ অন্য জায়গায় চলে যায় বা মৃত্যু ঘটে। উনিশ শতকের দিকে এ দ্বীপ পুরোপুরি পরিত্যক্ত হয়।
১৯৮৫ সালে যুক্তরাস্ট্র সরকার এ পরিত্যক্ত নগরীকে জাতীয় ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে এবং ইউনেস্কো এটাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে।