Newsbazar24:গোটা দেশে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট শুরু হয়েছে। ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। আজ নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য বিধানসভার ৬০টি ও সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনেও। পশ্চিমবাংলা ও মনিপুরের ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোথাও কোন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে সকাল থেকে দফায় দফায় একাধিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কোচবিহার। মনে হচ্ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় ফিরে এসেছে কুচবিহার।এদিন কোচবিহার ছাড়াও আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতেও নির্বাচন হয়। কিন্তু সবথেকে বেশি অভিযোগ কোচবিহার থেকেই এসেছে। একদিকে ভোটের মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনা অন্যদিকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুক ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার নির্বাচন জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ উত্তর এবং মালদহ দক্ষিণ। শুক্রবার ভোট প্রচারে বের হন মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। এদিন হবিবপুর বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যান। আর সেখানেই পুলিশ খগেন মুর্মুকে আটকায় বলে অভিযোগ। আর তা নিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
পুলিশের অভিযোগ, পারমিশন ছাড়া বাইক র্যালি করা হচ্ছে। মানা হচ্ছে না নির্বাচন কমিশনের নিয়ম। যদিও বিজেপির দাবি, একাধিকবার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানানো হয়। কিন্ত্য এরপরেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমুলের হয়ে পুলিশ কাজ করছে বলেও অভিযোগ। আর এই দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ নেতা-কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভে শামিল হন খোদ বিজেপি প্রার্থী খগেন মুরমু। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি প্রার্থী জানান, পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। পক্ষপাতিত্ব করছে। খগেন মুর্মুর জানান এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে ।