বঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি কিন্তু ঝড় বৃষ্টিতে মৃত প্রায় ৬ জন

Newsbazar24:অবশেষে বঙ্গে নামল স্বস্তির বৃষ্টি এই স্বস্তির বৃষ্টি অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালো রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। ঝড় বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি জেলা থেকে পাওয়া গেল মৃত্যুর খবর। বাজ পড়ে মৃত্যু ও দেওয়াল ধসে প্রাণহানি ঘটেছে এই বৃষ্টিতে। কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আবার ঝড়বৃষ্টির জেরে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল।
দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে দাবদাহের পর সোমবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর দেখা মেলে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাটোয়া ও কেতুগ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দুজনের। জখম একজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার কামাল গ্রামের বাগদিপাড়ার বাসিন্দা উন্নতি মাঝি (৪৯) নামে এক বধূ ভেড়া চড়িয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে আহত হন। তাঁকে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামে বিশ্বনাথ থান্দার (৬৮) নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন। তিনি মাঠ থেকে গরু চড়িয়ে ফেরার সময় এই ঘটনা ঘটে। কেতুগ্রামের পালিটা গ্রামে সুষ্মিতা সোরেন (১৪) এক কিশোরী বজ্রপাতে জখম হয়।
এ ছাড়াও পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে ইতিমধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে খবর, অন্যান্য জেলায় অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন ট্রাক্টর চালক প্রিয়রঞ্জন মাহাতো ( ৩০) এবং
রাহুল কুমার (২১)। ২ জন জখম হয়েছেন। এরা সবাই মিলে এদিন পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন
নদিয়াতেও ইটভাটায় দেওয়াল চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ঝোড়ো হাওয়ায় নাকাশিপাড়া থানার বড়গাছির একটি ইটভাটায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শ্রমিকের। মৃতরা হল যোগেশ্বর হেমব্রম (২৮) ও তালাকুড়ি হেমব্রম (২৫)। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। এদিকে ঝড়ে নরেন্দ্রপুর স্টেশনের কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আপ-ডাউনে ট্রেন চলাচল বন্ধ।