কমলেশ ত্রিবেদী ,news bazarer : চৈত্র নবরাত্রি মানেই হিন্দু ধর্মে শক্তি ও ঐশ্বর্য্য অর্জনের পূজা। এই নবরাত্রির নবম দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রামনবমী পালিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। হিন্দুশাস্ত্র মতে এই দিনটির অনেক গুরুত্ব আছে।
কেন রামনবমীর পুজোকে কল্যানকারী বলা হয়ে থাকে?
অনেকের মতে ত্রেতা যুগে রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার সন্তান হিসাবে এই দিন দেবতা রামের জন্ম হযে ছিলো । তাই এই দিনটি রামনবমী হিসাবে পালন করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রাম। অনেকের মতে ভগবান বিষ্ণু পৃথিবীতে মানব অবতার রূপে জন্ম নিয়েছিলেন পাপ ধ্বংস ও অসুরদের বিনাশ করার জন্য। বলতে গেলে লঙ্কার রাজা রাবণকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই মানব রূপে মর্তে এসেছিলেন বিষ্ণু। রাবণ ছিলেন বরপ্রাপ্ত। ভগবানরা বহুবার রাবনের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে গেছেন।আর সেই কারণেই বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামচন্দ্র মানুষরূপে পৃথিবীতে আসেন । পৃথিবীতে ধর্মরক্ষার জন্য রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করেন তিনি। সেই যুদ্ধে রাবণ প্রাণও হারান। রামভক্তদের কাছে রামের এই বিজয় ধর্মযুদ্ধে জয়ও বটে। তাই তাঁরা রামনবমীর দিনটিকে খুব নিষ্ঠা নিয়ে পালন করেন। এ দিন পুজো করলে কী হয়? শাস্ত্র মতে এ দিন নিষ্ঠা ও ভক্তি দিয়ে পুজো করলে মনের অনেক আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। ভগবানের কৃপায় সব ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এ দিন পুজো করলে।তবে পশ্চিম বঙ্গ সহ অনেক জায়গায় এদিন রাম হনুমানের সাথে মা দুর্গার পূজা করে থাকেন। মা বাসন্তী হিসেবে পুঁজিতা হন দেবী দুর্গা।