ধর্না মঞ্চে হামলার অডিও কান্ডে গ্রেফতার সিপিএম নেতা, উঠছে প্রশ্ন কুনালের হাতে এই অডিও কি করে এল?

আরজিকোর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নায় হামলার আশঙ্কায় অডিও ভাইরালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাসগুপ্ত। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই অডিওটি শেয়ার করেছেন। প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল নেতা অডিওটি কোথা থেকে পেলেন? কুণাল অবশ্যই দাবি করেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠকের সময় তাঁদের উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। এই অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথন থেকে তা স্পষ্ট। এই ক্লিপ বাইরে আসতেই।বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স থানার পুলিশ অত্যন্ত দ্রুততার সাথে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। এই ঘটনায় সঞ্জীব দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। এর পর গ্রেফতার করা হয় সিপিএম নেতা কলতান দাশগুপ্ত। জানা গেছে লালবাজার থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও গ্রেফতারির পরেই কলতান জানান, এটা পুলিশের সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র “আমাকে আটক বা গ্রেফতার কিছুই বলা হয়নি। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের দিক থেকে নজর ঘোরাতেই এটা করা হয়েছে।
অডিয়ো প্রকাশ করে কুণাল দাবি করেন অডিয়ো ক্লিপের একদিকে রয়েছে এক ব্যক্তি যার নামের আদ্যক্ষর ‘স’। অন্যপারে যিনি তাঁর নামের আদ্যক্ষর ‘ক’। সঞ্জীবের গ্রেফতারির পরেই সে কারণে ‘ক’ নামের ব্যক্তিটি কে?
এদিকে কুণালের এই অডিয়ো ক্লিপ নিয়ে কলতান দাশগুপ্ত বলেছিলেন, যখন শাসক আন্দোলনের চোটে নাজেহাল হয়, তখন শাসক দল এই আন্দোলনকে ভাঙার জন্য এই ধরনের পদ্ধতি নেয়। কারা আন্দোলন করছে, কারা আন্দোলন ভাঙতে চাইছেন তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। এখন আর নতুন করে মানুষকে বোকা বানানো যাবে না।
এই ঘটনায় সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য করা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তিনি বলেন,পুলিশের প্রথম কাজ ছিল কুণালকে গ্রেপ্তার করা।
। উনি এই অডিয়ো ক্লিপ কোথা থেকে পেলেন, কে দিল এগুলো জানতে হবে৷ অডিও টি প্রকাশ করে আন্দোলনটাকে ধংস করার চেষ্টা হচ্ছে ৷ আমরা এই বিষয়ে শেষ দেখে ছাড়বো।’