চাদের বুকে মিলল গুহার অস্তিত্ব ! চাঁদে মানুষ বসতি গড়তে পারে কিনা, তা নিয়ে নতুন করে শুরু গবেষণা

news bazar24: চাঁদের বুকে যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের মাটিতে এই প্রথম গুহার সন্ধান পেলেন তরা।আজ থেকে ৫৫ বছর আগে আযাপোলো-১১ মহাকাশ যানে করে নিল আস্ট্ং ও এডুইন অলডন চাঁদের যে অংশে নেমেছিলেন, সেখান থেকে এই গুহা ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গুহাটি চাঁদের মাটি থেকে অন্তত ১৫০ মিটার গভীরে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদে এমন কয়েকশো গুহা থাকা অসম্ভব নয়।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার লুনার রিকনেইস্যান্স অরবিটার (এলআরও) নামক একটি রেডার কিছুদিন আগেই এই তথ্য জানিয়েছে। গবেষণার নেতৃত্ব দেন ইতালির একদল বিজ্ঞানী । সোমবার “নেচার আ্যাস্ট্রোনমি’ নামক এক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, চাঁদের গুহাটির মুখ ৪৫ মিটার চওড়া এবং ৮০ মিটার লম্বা। ভিতরে প্রায় ১৪টি টেনিস কোর্ট ধরে যাবে। ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ ব্রেন্তোর অধ্যাপক লরেঞ্জো ব্রজোন জানিয়েছেন, কয়েক কোটি বছর আগে চাঁদের মাটিতে লাভা উদ্গীরণের ফলে গুহাটির সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, “৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাঁদের গুহা রহস্যই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত একটার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারাটাই উত্তেজনাপূর্ণ” । গুহাটির সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছেন বিজ্ঞানীরা।

চাঁদে মানুষ বসতি গড়তে পারে কিনা, তা নিয়ে গবেষণা চলছে। চাঁদের বুকে ভবিষ্যতে যদি আরও গুহা মেলে, তাহলে নভোশ্চররা সেখানে থাকতে পারবেন। আলাদা করে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করতে হবে না।ক্ষতিকর মহাজাগতিক রশ্মি, সৌর বিকিরণ এবং উল্কাপাত  থেকেও গুহাপথটি তাঁদের বাঁচাতে পারে। তবে এখনই অতকিছু ভাবছেন না বিজ্ঞানীরা। গুহাপথটি যেহেতু মাটির ১৫০ মিটার নীচে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে মাটির চরিত্র বোঝা অত্যন্ত জরুরি। মাটি আলগা হলে নামতে পারে ধস।

গুহার ভিতরে বরফ আছে কিনা, সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গুহার ভিতরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক। চাঁদের সৃষ্টি রহস্য ও গঠনতন্ব বুঝতে গুহাটির পাথরও ভবিষ্যতে পরীক্ষা করা হবে। এখনও পর্যন্ত চাঁদের বুকে ২০০-র বেশি গহুরের খোঁজ মিলেছে। এই গহুরগুলি বরফ-জমা জল ধরে রাখে বলে বিজ্ঞানীদের অনুমান।