ঘন ঘন গ্যাস অম্বল হচ্ছে ! ঘরোয়া উপায়ে প্রতিকার জানতে পড়ুন

Newsbazar24:আস্তে আস্তে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এই ঠান্ডার দিনের সকালে গরম গরম ফুলকো লুচির সঙ্গে সাদা আলুর তরকারি। সকালের প্রাতঃরাশ জমজমাট। কিন্তু লুচি খাওয়ার পরেই মুখের ভিতরটা টক হয়ে উঠল। সেই সঙ্গে শুরু হল বুক জ্বালা। এই সমস্যার মুখোমুখি আমরা অনেকেই হই। বাইরের খাবার খাওয়ার ঝোঁক, জল না খাওয়া, অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবারের প্রতি আসক্তি গ্যাস-অম্বল, পেট ফাঁপার মতো উপসর্গের প্রধান কারণ।এর হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য অনেকে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খান। চিকিত্‍সকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে তত্‍ক্ষণাত্‍ সমস্যা কমিয়ে দিলেও পরবর্তীতে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।
পুষ্টিবিদরা জানান, অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ বেশি না খাওয়াই ভাল। তার চেয়ে ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ হওয়ারও কিন্তু উপায় রয়েছে। জানেন সেগুলি কী কী?
১)গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে প্রত্যহ শরীরচর্চার গুরুত্ব অপরিসীম। রোজ কিছু ক্ষণের জন্য হলেও ব্যায়াম করা উচিত। এতে হজম ভাল করে হবে। আর হজম ভাল হলে গ্যাসের সমস্যাও অনেকটা কমবে। খাবার খাওয়ার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। দশ পা সজোরে হেঁটে তিন বার পেট ভিতরের দিকে টেনে ধরুন। তিন-চার বার এই ভাবে হাঁটাহাঁটি করলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা কমে যাবে।
২) ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানসিক চাপে থাকেন অনেকেই। এই মানসিক উদ্বেগ কিন্তু পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ এবং অস্থিরতা পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে পেট ফাঁপার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। উদ্বেগের কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অনেক সময় বিঘ্নিত হয়। তাতেই ঘটে বিপত্তি। তাই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। শরীরের খেয়াল রাখুন।
৩) পেট সংক্রান্ত হাজার সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে হলুদে। প্রদাহনাশক হিসাবে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকে কারকিউমিন উপাদান শরীরের অনেক সমস্যার চটজলদি সমাধান করে। প্রতিরোধশক্তি বাড়ায়। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এক কাপ দুধে এক চা চামচ নারকেলের শাঁস, হলুদ ও এক চা চামচ আদা একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। তার পর মিশ্রণটি গরম করে খেতে পারেন। তবে রোজ এই পানীয় না খাওয়াই ভাল। পেট গরম হতে পারে।