No Comments

কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথির সেমিনার হলের উদ্বোধন করেন আয়ুষ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মঞ্জুপাড়া মহেন্দ্রভাই কালুভাই।।

newsbazar 24::আয়ুষ এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মঞ্জুপাড়া মহেন্দ্রভাই কালুভাই শুক্রবার কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হোমিওপ্যাথি (এনআইএইচ)-এর সেমিনার হলের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আনন্দ প্রকাশ করে পেরে তার ভাষণে  এনআইএইচ-এর অধিকর্তা, শিক্ষক ও হাসপাতালের কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১০ ডিসেম্বর কলকাতায় একটি স্বশাসিত সংস্থা হিসেবে এনআইএইচ প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার শ্রেষ্ঠত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই সংস্থার অবদান সর্বাধিক। 

তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ‘হোমিওপ্যাথির কাশী’ হিসেবে পরিচিত। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানেই দেশের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা লালিত-পালিত হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই কলকাতায় এনআইএইচ-এর উন্নয়নে সরকার সর্বদা সচেষ্ট।

ডাঃ মঞ্জুপাড়া মহেন্দ্রভাই কালুভাই উল্লেখ করেন যে, এই প্রতিষ্ঠান ১৯৮৭ সাল থেকে হোমিওপ্যাথি মেডিসিন এবং সার্জারির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠক্রম পরিচালনার কাজ করে আসছে। স্বাধীনতা লাভারের পর দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন সারা দেশে এই চিকিৎসা পদ্ধতি জনপ্রিয় উঠেছে। ১৯৯৬ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক একটি পৃথক আয়ুষ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৪ সালের পর কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষের জন্য একটি পৃথক মন্ত্রক গঠন করে।

এদেশে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, অ্যালার্জি জনিত রোগ, চর্ম রোগ, ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা যথেষ্টই কার্যকর হয়েছে। এছাড়াও ক্যান্সার, আলসার, মাদকাসক্তি ইত্যাদি রোগ ও ব্যাধি প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা যথেষ্টই সহায়ক হয়েছে। এখন হোমিওপ্যাথি চিরিৎসায় একাধিক ভাষায় বিভিন্ন বই পাওয়া যায়। এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণার কাজও চলছে। রোগ নিরাময়মূলক স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি যথেষ্ট কার্যকারিতার প্রমাণ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এদিন স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই প্রতিষ্ঠানে একটি হার্বাল গার্ডেনে বৃক্ষ রোপণ করেন। পাশাপাশি এনআইএইচ-এর একটি ডিজিটাল ক্যালেন্ডার এবং ১৫০ আসন বিশিষ্ট সেমিনার হলের উদ্বোধনও করেন তিনি। ৫৬ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ে ৩ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে ৬ তল বিশিষ্ট এই সেমিনার হলটি গড়ে তোলা হচ্ছে।