World news:উপমহাদেশের প্রখ্যাতশিল্পী ড.ভূপেন হাজারিকাকে স্মরণ করলো ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি

উপমহাদেশের প্রখ্যাতশিল্পী ড.ভূপেন হাজারিকাকে স্মরণ করলো ঢাকা শিল্পকলা একাডেমি

শনিবার ঢাকায় শিল্পকলা ‌অ্যাকাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে ভূপেন হাজারিকার একাদশতম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হল ধুমধামের সাথে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভূপেন হাজারিকার ভ্রাতৃজায়া মনীষা হাজারিকা ও ভাইপো ময়ূখ হাজারিকা সহ ভারতের অসম থেকে ২০ সদস্যের একটি দল ঢাকায় এসেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অসীম কুমার উকিল এমপি এবং ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী এ এস এম শামসুল আরেফিন। আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মনীষা হাজারিকা এবং ব্যতিক্রম মাসদোর সভাপতি ড. সৌমেন ভারতীয়া।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতে দুটি সমবেত সংগীত পরিবেশন করে ঢাকা সাংস্কৃতিক দল। সমবেত নৃত্য ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি’এবং ‘সাঁজিয়ে দু’পাটি মাথার খোপাটি’পরিবেশন করে একাডেমির নৃত্যদল। একক সঙ্গীত ‘বিস্তীর্ণ দুপারের অসংখ্য মানুষের’, ‘দোলা হে দোলা’, ‘দিল হুম হুম করে’, ‘We are the same boat brother’ পরিবেশন করেন আসাম (ভারত) থেকে আগত শিল্পী ময়ূখ হাজারিকা। একক সংগীত ‘সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ’ও ‘আমি এক যাযাবর’পরিবেশন করেন শিল্পী মিসমি বোস। একক সংগীত ‘মানুষ মানুষের জন্য’পরিবেশন করেন ড. মাঈনু দেবী। একক সংগীত ‘তুমি নতুন পুরুষ, তুমি নতুন নারী’এবং ‘হৃদয়ের ব্যথা বিরহের কথা’পরিবেশন করেন শিল্পী গীতাঞ্জলি কাকতি। একক সংগীত ‘রঙিলা বাঁশিতে’পরিবেশন করেন শিল্পী দ্বীপশিখা ভরালি।বাংলাদেশি শিল্পীদের মধ্যে সংগীত পরিবেশন করে শিল্পী লিয়াকত আলী লাকী, ইয়াসমিন আলী ও দিলবাহার খান।
অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে লিয়াকত আলি লাকি বলেন, ‘‌ভূপেন হাজারিকা শুধু অসম, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের নন। তিনি বিশ্বমানবতার সম্পদ। তাঁর গান বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এদেশের মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। শোষিত মানুষের পক্ষে তিনি সারা জীবন গান গেয়েছেন। তাঁর মানবতার গান দেশকালের উর্ধ্বে। তাই এই আয়োজন।’‌ ব্যতিক্রমের সভাপতি ড. সৌমেন ভারতীয়া বলেন, ‘‌২০১৬ সালে বাংলাদেশে ভূপেন হাজারিকার ৯০ তম জন্মদিনে শিল্পকলা অ্যাকাডেমি নানা আয়োজন করেছিল। ভূপেন হাজারিকা জাতি, ধর্ম, বর্ণের উর্ধ্বে। এই আয়োজনে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম ভূপেন হাজারিকা সম্পর্কে জানতে পারবে। দৃঢ় হবে ভারত বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে মৈত্রীর বন্ধন।’‌