ট্যাংরার পরে বীরভূম – একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু

Newsbazar24 :

ট্যাংরা কাণ্ডের পরে এবার বীরভূম। প্রায় একই মর্মান্তিক কান্ড। সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার আদিবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল মহম্মদবাজারে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানা গিয়েছে, বীরভূমের মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় রয়েছে ম্যানেজার পাড়া। সেখানে থাকতেন লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫)। দুই সন্তান রূপালি (১০) ও অভিজিৎ (৮)-কে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী লালটু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকতেন। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা ভয়ংকর দৃশ্য দেখেন। এই ভয়ানক ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন প্রতিবেশীরা।

দেখা যায়, ঘরে খাটিয়ার উপর পড়ে লক্ষ্মী ও রূপালির কম্বল জড়ানো দেহ। খাটিয়ার নিচে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। তিনজনের মাথাতেই মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা খবর দেয় থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়েই ব্য়াপক ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, তিনজনকে খুনই করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তিনজনকে খুনই করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নাহলে দেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না। যদিও পুলিশের দাবি ময়না তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত খুন সম্পর্কে বিস্তারির নানা যাবে না। পুলিশ সুপার আমনদীপ স্থানীয়দের বলেন, আগে দেহ উদ্ধার হোক। তারপরই তদন্ত শুরু হবে। অভিযুক্তদের শীঘ্রই ধরা হবে। কিন্তু তা মানতে নারাজ স্থানীয়রা। কিন্তু ঠিক কীভাবে মৃত্যু? কেন এই ঘটনা? নেপথ্যে কে? প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে তিনজনকেই।