Newsbazar24: আর মাত্র দুদিন পরেই বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা রাজ্যের সাথে মালদা জেলা ৷ কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলায়, সরস্বতী পুজোর আয়োজন থমকে রয়েছে৷ প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষার কারণে বাগদেবীর আরাধনায় এবার কি ভাটা পড়তে চলল ? মৃৎ শিল্পীদের একাংশের অভিমত তাই ৷ হাতে গুনে আর দুদিন পর সরস্বতী পুজো ৷ কিন্তু, এখনও প্রতিমার বায়না অন্যান্য বারের মতো হয়নি। আর এর মূল কারণ হিসেবে মৃৎ শিল্পীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকেই মনে করছেন ৷
মৃৎ শিল্পীদের আর এক অংশের অভিমত সরস্বতী প্রতিমার আগাম বায়নার আজকাল আর তেমন একটা চল নেই মৃৎশিল্পকেন্দ্রগুলোতে। কিছু বড় এবং থিমপুজোর উদ্যোক্তারা অবশ্য এখনও অগ্রিম বরাত দিয়ে রাখেন। কিন্তু সাধারণভাবে ছোট, মাঝারি, বড়, নানারকমের প্রতিমা তৈরি করে সাজিয়ে রাখেন শিল্পীরা। সেখানেই পছন্দমতো প্রতিমা দরদাম করে নিয়ে যান ক্রেতারা। তবে এখন শহরে, মফস্বলে পাড়ায় পাড়ায় অনেকেই সরস্বতী প্রতিমার তৈরি করায় বিকেন্দ্রীকরণের একটা প্রবণতা এসেছে। স্কুল-কলেজে, বাড়িতে প্রতিমা পৌঁছে যাচ্ছে সেখান থেকেই।
এ বিষয়ে মালদার অন্যতম মৃৎশিল্পী বিশ্বনাথ পাল জানান, এখনো পর্যন্ত প্রতিমা তৈরীর বরাত সে রকম ভাবে পাওয়া যায়নি। যদিও বেশ কিছু প্রতিমা বরাত ছাড়াই তৈরি করে রাখা হয়েছে। রেডিমেড প্রতিমারও চাহিদা মোটামুটি সব জায়গায়ই কম। এটা হয়তো মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য হতে পারে। তবে আমাদের আশা শেষ মুহূর্তে হয়তো বাজার কিছুটা জমবে। তিনি আরো বলেন বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর প্রতিমা মালদহে আসে বিক্রির জন্য। এই প্রতিমা গুলো মালদহে ঢোকার ফলে জেলার স্থানীয় শিল্পীদের বেচাকেনা ভাটা পড়েছে।দরও ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছে না। পালেরা বংশধররা এখন আর ঠাকুর বানাচ্ছে খুব কম। ভিন জাতির মানুষেরা ঠাকুর বানাচ্ছে। তারা একটু শিখে নিয়ে ঠাকুর বানাতে শুরু করছে এবং কম দামেও বিক্রি করছে। এর ফলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি বাজারও নষ্ট হচ্ছে। প্রতিমার গুনগত মান বজায় থাকছে না। প্রতিমার দাম ঠিকমতো না পাওয়ায় আমাদেরকেও সংক্ষিপ্তভাবে কাজ সারতে হচ্ছে।