Prabashi Durga Puja:জার্মানির বার্লিনে কলকাতার প্রাচীন পুজোর রীতিমেনে আবাহন করেন

Newsbazar24:পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যেখানেই বাঙালিরা রয়েছেন সেখানেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন তারা। কোথাও অ্যাসোসিয়েশন করে আবার কোথাও একজোট হয়ে কলকাতার মতো মেতে উঠেন শারদীয়া দুর্গোৎসবে। তেমনি এবারেও জার্মানির অন্যতম বড় শহর বার্লিনের প্রবাসী বাঙালিরাও দুর্গোৎসবের মেতে উঠতে চলেছেন।
বার্লিনের সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবার চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। প্রবাসে পুজো হলেও বাংলার মত আবেগে-আয়োজনে কোনও খামতি নেই। বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসবে মেতে ওঠেন প্রবাসী বাঙালিরা। একেবারে রীতি মেনে পুজো হয়। কুমারী পুজো, অঞ্জলি, সন্ধিপুজো, ভোগ- অষ্টমীতে মেতে উঠল বার্লিন। শুধু প্রবাসী বাঙালি নন, থাকেন অবাঙালি ও বিদেশিরাও। অষ্টমীর সকালে রীতি মেনে কুমারী পুজো হয়।
পুজোর আয়োজকদের কাছ থেকে জানা যায় বার্লিনের গণেশ মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়। কলকাতার মত মণ্ডপ বার্লিনে করা সম্ভব হয় না। কিন্তু নিয়ম মেনে ‘খুঁটিপুজো’ হয়। তারপর থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। যে মূর্তিতে পুজো হয়, সেই মূর্তি ২০২১ সালে কলকাতার কুমোরটুলি থেকে আনা হয়েছিল। শিল্পী মিন্টু পালের তৈরি করা সেই মূর্তি জাহাজে চেপে এসেছিল বার্লিনে। পাঁচ বছর সেই মূর্তিতে পুজো হবে। তারপর ফের নতুন মূর্তি আসবে কলকাতা থেকে। তাই প্রতিবার পুজোর শেষে কাঠের বাক্সে করে বিশেষ লকারে মায়ের প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়। বার্লিনেই থাকে সেই লকার। প্রতিমা নিরঞ্জন হয় না। আবার পরেরবার পুজোর আগে লকার থেকে প্রতিমা বের করে এনে করা হয় পুজো।
তবে প্রতি বছরই দশকর্মার যাবতীয় সামগ্রী আনা হয় কলকাতা থেকে। পুজোর কয়েকটা দিন কলকাতার পাড়ার পুজোর মতো মজা হয়। চলে দেদার আড্ডা, পেটপুজো। বার্লিনের প্রবাসী বাঙালিরাই পাড়ার বন্ধু-বান্ধব হয়ে ওঠেন। শুধু বার্লিনই নয়, ফ্রাঙ্কফুট, ডুসেলডর্ফের মতো জার্মানির বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রবাসী বাঙালিরা পুজোর আনন্দের সামিল হতে আসেন। পুরোহিত জার্মানির শহর ডুসেলডর্ফ থেকে এসে পুজো করেন।
প্রবাসী বাঙালিরা তো বটেই, প্রচুর প্রবাসী ভারতীয়ও পুজোয় আসেন। থাকেন বিদেশিরাও। ষষ্ঠীতে বিশেষ পুজোবার্ষিকীও প্রকাশ করা হয়। পুজোর পাঁচদিনই থাকছে বিভিন্নরকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।