Thursday , 24 November 2022 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

Malda news:মুখ্যমন্ত্রীর চোখের আলো প্রকল্পে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন দৃষ্টিহীন এক পরিবারের দুই সদস্য

প্রতিবেদক
kartik pal
November 24, 2022 5:24 pm

Newsbazar 24: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত চোখের আলো প্রকল্পে দৃষ্টি ফিরে পেল দৃষ্টিহীন এক পরিবারের দুই সদস্য। বাকী তিন সদস্যের অস্ত্রোপচারও হবে খুবই শীঘ্রই।
মালদহ জেলার গাজোল থানার তুলসীডাঙ্গার বাসিন্দা বিশ্বনাথ সরকার(৫০)। সাত বছর বয়সে ট্রাইফয়েড হওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি।তাঁর স্ত্রী অর্চনা সরকারও (৩৮) প্রায় দৃষ্টিহীন। তাদের ছেলে মেয়ে অমিত(২০),সুমিত(১৫),সোমা(১২) ও সোনালি(৪)। অমিত ছাড়া বাকী সকলেই দৃষ্টিশক্তিহীন। পথে ভিক্ষা করেই চলে তাদের সংসার। এমতাবস্থায় পরিবারের পক্ষে চোখের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় নি। সেই অন্ধকার জীবনে আলো এনে দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর‘চোখের আলো’প্রকল্প। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে আপাতত সুমিত(১৫) ও সোমা(১২) ফিরে পাচ্ছে চোখের আলো। পরিবারের আরো তিন সদস্যের অস্ত্রোপচারও হবে খুবই শীঘ্রই।চোখের আলো প্রকল্পের মাধ্যমে দৃষ্টি ফিরে পেতেই খুশি এই পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বছর দুয়েক আগে গাজোলের এক চশমার ব্যবসায়ী প্রদীপ লাহা এই দৃষ্টিহীন পরিবারের পাঁচ সদস্যকে ভিক্ষা করতে দেখেন। এরপরই তিনি গাজোল ব্লকের হাতিমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চক্ষু পরীক্ষক অজিত কুমার দাসের সাথে যোগাযোগ করেন।চক্ষু পরীক্ষক অজিত কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় চিকিৎসা।অজিতবাবু তাদের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রচেষ্টা শুরু করেন। এই সময় রাজ্য সরকারের ‘চোখের আলো’প্রকল্পের সূচনা হয়। আর এই দৃষ্টিহীনদের সেই প্রকল্পের আওতায় শুরু হয় চিকিৎসা। প্রতিকুলতা ছিল অনেক। কিন্তু মালদা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক সুমন চ্যাটার্জীর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় চিকিৎসা। তারই নেতৃত্বে গঠিত হয় মেডিক্যাল টিম।ঠিক হয় দুইটি পর্যায়ে এই পরিবারের পাঁচ সদস্যের অস্ত্রোপচার হবে। প্রথম পর্যায়ে সুমিত ও সোমার অস্ত্রোপচার হয় ২১নভেম্বর।চক্ষু চিকিৎসক সুমন চ্যাটার্জী সহ বিশ্বজিৎ কুমার,হাতিমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চক্ষু পরীক্ষক অজিত কুমার দাস, কর্মী সুভম তেওয়ারীর সহযোগিতায় সফল হয় দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার লড়াই।
এই বিষয়ে পরিবারের কর্তা বিশ্বনাথ সরকার জানান, ‘যদিও আমি নিজেও দৃষ্টিহীন। নিজের দৃষ্টি ফিরে না পেলেও আপাতত আমার পরিবারের এক ছেলে এবং এক মেয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ায় খুবই খুশি। এদেরকে এখন আমার পড়াশোনা করাবার ইচ্ছা রয়েছে। ডাক্তার বাবুরা জানিয়েছেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের চোখের অস্ত্রপচার আরো কয়েকদিন পরে করবেন।” তিনি এজন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে অজস্র ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সুমিত ও সোমা দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ায় তারাও খুব আনন্দিত।
এ প্রসঙ্গে গাজোল হাতিমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চক্ষু চিকিৎসক, অজিত দাস জানিয়েছেন, দৃষ্টিহীন এই দরিদ্র পরিবারের দুইজনকে চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। বাকি তিনজনের চক্ষু অস্ত্রোপচার কয়েকদিন পরে হবে। এটা সম্ভব হয়েছে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর চোখের আলো প্রকল্পে ।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কৃষি ও ফুল বাগান

আপনার জন্য নির্বাচিত

আদালত চত্বরে বিচারকের দেহরক্ষীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার, খুন না আত্মহত্যা তদন্তে পুলিশ

দি এশিয়ান গ্রুপের উদ্যোগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য তায়কোন্ডো প্রশিক্ষণ শিবির

দূর্গা পূজা উদযাপনে বিদেশে যেন মিনি বেঙ্গল

জেনে নিন শিবপূজার পদ্ধতি ! কি ভাবে মন্ত্রের সাথে শিবরাত্রি পালন করবেন ?

সোস্যাল মিডিয়ায় যুবতীর অশ্লীল ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিতে আত্মঘাতী যুবতী,অভিযুক্ত যুবক

এ এক অসাধারণ কুমির ও জেব্রার যুদ্ধ জয়ের লড়াই

রাজ্যে পঞ্চায়েতের নতুন আসন বিন্যাস সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ

Siliguri news: নিষিদ্ধ মাদক ব্রাউন সুগার সহ গ্রেপ্তার তিন

করোনা সঙ্কটের মোকাবিলায় সাংসদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত,

দাড়িভিটে কাণ্ডে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা রাজ্যের, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল