Newsbazar 24:বাজারে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই কুমড়ো কিনতে চান না। অনেকে আবার নাম শুনলেই অনেকেই মুখ ঘুরিয়ে নেন। কারণ অধিকাংশই কুমড়ো খেতে একদমই পছন্দ করেন না। তবে কুমড়োয় রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিগুণ যা শরীরের একাধিক অংশের জন্য প্রয়োজনীয়। জেনে নিন কী-কী উপকার মিলবে কুমড়ো খেলে।
পুষ্টিবিদদের কথায় কুমড়োয় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সহ অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। এছাড়া ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, ভিটামিন কে,ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এবং জিঙ্ক
কুমড়োর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা হৃদযন্ত্র ব্লক করে দেওয়ার মতো এলডিএল কোলেস্টেরলকে কম করে দেয়। যার জন্য বহুদিন পর্যন্ত হৃদযন্ত্র সুরক্ষিত থাকে। এ ছাড়াও কুমড়ো ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্য়করী বলে প্রমাণিত। কুমড়ো ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। স্তন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারে ও ডায়াবেটিসে এটি খুবই উপকারী।
যারা খুব স্ট্রেস বা অবসাদগ্রস্ত আছেন তারা ওষুধের বদলে কুমড়ো খান। কুমড়ার মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা আপনাকে বিষণ্ণতার মতো মানসিক রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করতে পারে।এ ছাড়াও ভিটামিন এ ত্বকের জন্য উপকারী।
কুমড়ো কেবলমাত্র আপনার দৃষ্টিশক্তিই উন্নত করে না এটি ছানির মতো বয়সজনিত চোখের রোগেও উপকারী।
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে হজমে সহায়ক কুমড়ো। নিয়মিত এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
ভিটামিন এ, সি, ফাইবার, পটাসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম, ও আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়ো শরীরে শক্তি ও পুষ্টি জোগায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার সম্পন্ন মিষ্টি কুমড়ো ওজনও কমাতে সাহায্য করে। শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে কাজ করে। এছাড়াও পটাসিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।