Banedi Barir Puja:দক্ষিণ ২৪ পরগনার মিত্র বাড়ির দুর্গাপূজায় এক আশ্চর্যজনক ঘটনার সন্ধান পাওয়া যায়

Newsbazar24:দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগরের মিত্র জমিদার বাড়ির পুজো প্রায় ৩৫০ বছরেরও বেশি অতিক্রান্ত হতে চলেছে।
বর্তমানে জমিদারি প্রথা না থাকলেও পূজার আচার-আচরণে এতটুকু খামতি নেই। পুরানো নিয়ম মেনে প্রতিবছর পুজো হয় এখানে । জমিদার বাড়ির বর্তমান বংশধরদের কাছ থেকে জানা যায় জমিদার বাড়ির বিশাল ঠাকুর দালানে জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজোর দু‘দিন পর থেকেই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায় ৷
তাদের কথায়, আনুমানিক ৩০০-৩৫০ বছর পুরনো এই পুজোয় মৃৎশিল্পী থেকে পুরোহিত সকলেই বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছেন ৷ অতীতে দেড় মণ চালের নৈবেদ্য সমর্পণ করা হলেও বর্তমানে এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হয় ৷ পূর্বে মহালয়ার পরের দিন থেকেই পুজো শুরু করা হলেও এখন ষষ্ঠী থেকেই মূলত পুজো শুরু হয়। জমিদারি না থাকলেও পুজোর পুরনো নিয়ম-কানুন যায়রে কি এই পুজোর সম্পন্ন করা হয়।
সঙ্গত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা এমনকি সুন্দরবনের কাকদ্বীপ নামখানা মথুরাপুর রায়দিঘী প্রভৃতি এলাকা জুড়ে জমিদারি বিস্তৃত ছিল মিত্র পরিবারের। সেই সময় সেখানকার বর্ধিষ্ণু প্রজারা পুজোর সময় পুজোর যাবতীয় জিনিসপত্র পাঠাতেন। বর্তমানে জমিদারি প্রথার অবসান ঘটেছে। তাদের কাছ থেকে আরও জানা যায়
অতীতে সাতটি ছাগল ও মোষ বলির প্রথার প্রচলন থাকলেও এখনদু‘টি করে ছাগল বলি হয়। এখনো জমিদার বাড়ির পুকুরটি রয়েছে। আর এই পুকুরেই কলা বউ স্নান থেকে শুরু করে প্রতিমা বিসর্জন সবকিছুই হয়। আশ্চর্য এক ঘটনার কথা জানা যায় পরিবারের পক্ষ থেকে। অতীতে বাড়িতে বেশ কিছু কাঁঠাল গাছ ছিল।
জানা যায়, বাড়ির একটি কাঁঠাল গাছে এই পুজোর সময় কাঁঠাল ফলবেই ৷ সেই কাঁঠাল পুজোর নৈবেদ্য হিসাবে মা দুর্গাকে নিবেদন করা হত।