লোকাল ট্রেনের সিট নিয়ে চুল টানা টানি ! মাথা ফাটল কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মীর

news bazar24: লোকাল ট্রেনের সিট নিয়ে শুরু ঝগড়া রোজকার ঘটনা।কিন্তু এই ঝগড়া যে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর মাথা ফাটাবে তা কেও ভাবতে পারেনি। আজ সেই রকম ঘটনা ঘটলো লোকাল ট্রেনে।

ট্রেনের সিট নিয়ে শুরু ঝগড়া আর শেষপর্যন্ত গড়াল চুলোচুলিতে। চুল টানাটানি করে রীতিমতো মারপিট করল দুই পক্ষ। তা থামাতে গিয়েই আক্রান্ত্র হলেন এক মহিলা পুলিশ। কপাল থেকে রক্ত ঝরল তাঁর! এক মহিলার কীর্তি দেখে নিন্দায় এখন নিত্যযাত্রীরা । 

পুলিশ সূত্রে খবর, লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরায় বসার জায়গা নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়। বুধবার সন্ধেয় মহারাষ্ট্রের থানে থেকে লোকাল ট্রেনে ওঠেন তালোজার বাসিন্দা গুলনাথ জুবারে খান, অঞ্জু ও তাঁর মেয়ে। এরপর কোপারখাইরানে স্টেশন থেকে ওই ট্রেনেই ওঠেন স্নেহা দেবড়ে নামের আরও এক মহিলা।প্রচণ্ড ভিড় ট্রেনে একটি সিট খালি হতেই সেখানে বসেন স্নেহা। কিন্তু স্নেহার সিটে বসা নিয়ে ঝামেলা শুরু করেন গুলনাথ ও অঞ্জু। তাঁর মেয়েকে বসতে না দিয়ে, স্নেহার বসে পড়া নিয়েই তাঁদের আপত্তি। প্রথমে তর্কাতর্কি  তারপর এই ঝগড়া  গড়াল চুলোচুলিতে। 

 স্নেহার চুল ধরে টানতে থাকেন অঞ্জুরা। তাঁকে লাগাতার ঘুষি মারতে থাকেন। সহযাত্রীরা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ফোন যায় পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। পরের স্টেশন থেকে ওই কামরায় ওঠেন মহিলা পুলিশ। তিনি থামানোর চেষ্টা করলেও মারধর চলতেই থাকে। এর মাঝেই মহিলা পুলিশকেও মারধোর করে গুলনাথ । তাঁর কপাল থেকে ঝরতে থাকে রক্ত। 

সেই পরিস্থিতিতে সিউড স্টেশনে সবাইকে নামান ওই মহিলা পুলিশ। নিয়ে যান ভাসি পুরসভার হাসপাতালে। সেখানে ওই মহিলা পুলিশকে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বাকিদের। এরপর  গুলনাথ এবং অঞ্জুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অঞ্জুকে।এই ধরনের চিত্র কলকাতা বা দিল্লিতে হবে না তো ? প্রশ্ন এটাই নিত্য যাত্রীদের ।