জাগ্রত বুলবুলচন্ডীর বুড়ি মায়ের প্রতিমা নিরঞ্জনের আকর্ষণীয় শোভাযাত্রা

Newsbazar24:-মালদহের হবিবপুর ব্লকের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী প্রাচীন পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম বুলবুলচন্ডী হাসপাতাল মোড়ে বুড়ী কালী মায়ের পুজো ।এবার ৭৯ তম বর্ষে ব্যাপক ধুমধাম করে ৮দিন ব্যাপী মায়ের পুজোর সমাপ্তি ঘটলো সোমবার। কথিত আছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বুড়ীমায়ের দরজায় যে আসে মা তাকে ফেরায় না। তার মনসকামনা পূরণ করেন বুড়ীমা। এই মা ভক্তদের কাছে খুবই জাগ্রত।
সম্প্রতি দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে বুড়ি মায়ের বিশেষ পুজো দেওয়া হয়।ওই দিন পুজোর রাতে প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টি পাঁঠা বলি পড়ে।পুজো কমিটি সূত্রে জানা যায় মায়ের আকর্ষণে দূর দূরান্ত থেকে অগনিত ভক্তরা মায়ের দর্শন লাভের জন্য ছুটে আসছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় বুড়ী মায়ের নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় ভক্তদের ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।বুড়ীমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল একুশ টি জয় ঢাক, কাঁসর,তাসা বাজনা ও সাউন্ড সিস্টেম। সব মিলিয়ে মায়ের নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় জমজমাট হয়ে উঠল বুলবুলচন্ডী এলাকা। বুড়ি কালী মায়ের নিরঞ্জন শোভাযাত্রা কে কেন্দ্র করে ৮ থেকে ৮০ সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল সোমবার সন্ধ্যায়। প্রত্যেক বছর পুজোর সাতদিন পরে নিয়ম নীতি মেনে এই বুড়ি মায়ের নিরঞ্জন করা হয়, বুড়ী মায়ের মূর্তিটি মন্দির থেকে বের করে গোটা বুলবুলচন্ডী পরিক্রমা করে কেন্দুয়া এলাকায় মায়ের বিসর্জন পর্ব শেষ হয়। এই বিসর্জনে সব দিকে কড়া নজরদারি ছিল পুলিশ প্রশাসনের।
জানা যায়,সময়টা ১৯৪৪ সাল।সেই সময় বাংলাদেশ থেকে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর টাঙ্গন নদীতে বুড়ি মায়ের কাঠামো ভেসে আসে। মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে স্থানীয় স্বর্গীয় ননী গোপাল সাহা এবং ভোলানাথ সাহারা পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন।তারপর থেকে মায়ের মহিমার কথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে।বেশ কয়েক বছর আগে ভক্তদের দানে মায়ের জন্য নবনির্মিত মন্দির করা হয়েছে।সেখানে মা নিষ্ঠা সহকারে পূজিত হয়ে আসছে।শুধু তাই নয়,মায়ের পুজো প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার করা হয়।অমাবস্যা তিথিতে মায়ের বিশেষ পুজো দিতে স্থানীয় বহু ভক্তরা ভিড় করে।বর্তমানে এখন পুজোর দায়িত্বে রয়েছে শ্রী শ্রী বুড়ি কালীপুজো উৎসব কমিটি। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য প্রতীক ঘোষ বলেন ১৯ এর দশক থেকে মহা আড়ম্বরে বাংলাদেশে চাঁপাই নবাবগঞ্জে শুরু হয় মাতৃআরাধনা, মায়ের মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে, অগণিত ভক্ত মায়ের চরণে নিজেদের সুখ, সমৃদ্ধি, পুণ্য লাভের আশায় দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। সর্বজনীনভাবে অবলীলায় মাতৃছায়ায় হাজার হাজার ভক্ত সমাগম শুরু হয়।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আজও নিজেদের মনবাসনা লাভে অগণিত ভক্ত ছুটে আসেন মঙ্গলময়ী মায়ের কাছে।