No Comments

সোমবার রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কেন ? জানতে পড়ুন ।

newsbazar 24::রাজ্যে আবার আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । তবে কোনও ঘটনার তদন্ত করতে নয় আসছেন একশো দিনের প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে।

নবান্ন সূত্রে জানা যায়  , কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব আশিসকুমার গোয়েল বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৬টি জেলার জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে ‘ন্যাশনাল লেভেল মনিটর’দের রাজ্য সফরের বিষয়টি জানিয়েছেন।সোমবারে তাদের রাজ‍্যে আসার কথ।  এই পরিদর্শন চলবে সোমবার থেকে শুরু করে শনিবার পর্যন্ত ৮টি দলে ভাগ হয়ে তাঁরা ১৬টি জেলা পরিদর্শন করবেন। খতিয়ে দেখবেন  গত দুই বছরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কী-কী হয়েছে এবং আবাস যোজনার কাজ নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা । এই ১৬টি জেলার প্রতিটিতে তাঁরা অন্তত  ৩-৪টি করে ব্লকের অন্ত্ভুক্ত ১০-১২টি করে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখবেন।

রাজ্যের যে সমস্ত জেলায় পরিদর্শন শুরু হচ্ছে সেগুলো হল- পূর্ব বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দুই মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, হুগলি, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, মালদহ ও বীরভূম জেলায় তিন-চারটে ব্লকের ১০-১২টি পঞ্চায়েতে তারা ঘুরবে। কোভিড-বিধি মেনেই পর্যবেক্ষণ চলবে ।

প্রশাসন সূত্রে খবর  ২০১৯-এর শেষ দিকে আগে এ রকমই কেন্দ্রীয় দল এসে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতে ১০০ দিনের কাজে বেশ কিছু ‘অনিয়ম’ খুঁজে পায় ।  এবং তার ভিত্তিতে  রাজ্যকে রিপোর্ট ও করা হয় । রাজ্য প্রশাসন সে সূত্র ধরে পঞ্চায়েতের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল।

রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ তিনি জানান সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সমস্ত তথ্য দিয়ে এসেছিলন । তাই এবারও সমস্ত টা খতিয়ে দেখতেই আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল । জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গত দু’বছরের প্রকল্পের কাজের সব নথি আগে থেকেই যেন ঠিক করে রাখা হয় । প্রকল্পের কাজের সব রসিদ, ‘ক্যাশবুক’ থেকে সাতটি ‘রেজিস্টার’ যথাযথ ভাবে পূরণ করে রাখার জন্যও বলা হয়েছে । এছাড়াও আগের প্রকল্পের যে  কাজ চলেছে , সেই কাজের নাম, বরাদ্দ, কাজের বিবরণ-সহ বোর্ড যেন টাঙানো থাকে, তা-ও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ বা ‘বাংলা আবাস যোজনা’য় ২১০ বর্গফুটের মধ্যে বাড়ি করার নিয়ম। তা সঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না, ‘যোগ্য’ প্রাপক বাড়ি পেয়েছেন কি না, ‘জিও ট্যাগিং’ যথাযথ হয়েছে কি না কিংবা বাড়ির বাইরে ‘লোগো’ দেওয়া বোর্ড লাগানোর মতো খুঁটিনাটি সব দেখা হবে। কারণ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে আমাদের রাজ্য তথা পশ্চিমবঙ্গ অনেকটা বেশি ই টাকা পায় সেই অর্থে গলদ কোথায় তা খতিয়ে দেখার অবশ্যই দরকার রয়েছে । 

এর আগে২০১৯ এ হুগলি ও পূর্ব বর্ধমানে  ১০০ দিনের কাজ পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজের ক্ষেত্রে ‘অনিয়ম’ খুঁজে পেয়েছিল । সেই নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে রিপোর্টও করেন তাঁরা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি সেই সময়ে রাজ্য প্রশাসন ওই সব গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করেছিল। 

পরিদর্শনে কোন ব্লকের কাজে ত্রুটি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত বা ব্লকের কাছে জবাব চাওয়া হবে। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।সব শেষে  দেখার বিষয় পরিদর্শন শেষ করে তাঁরা কেন্দ্র ও রাজ্যকে কী রিপোর্ট দেন।