সিনেমার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরব হলেন‘দ্য কেরালা স্টোরি’র সুরকার

NewsBazar24:

আজ কথা বলব আমাদের বাংলার ছেলে বিশাল জ্যোতিকে নিয়ে, যিনি দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমার সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি তাঁর যাত্রা পথ শুরু হয়েছিল বনগাঁ থেকে, তারপরে ধীরে ধীরে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন মুম্বাইয়ে। সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে ৬৭তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে পুরস্কারও পেয়েছেন তারপর থেকে তিনি নানান নন ফিচার ফিল্ম নানা তথ্যচিত্রে কাজ করলেও সেভাবে লাইন লাইটে আসেননি।

দ্য কেরালা স্টোরি সিনেমার হাত ধরে বিশাখ লাইন লাইটে এসে পড়েন। প্রথমে তাঁর কাজ করার কথা না থাকলেও পরে সুদীপ্ত সেন নিজেই তাঁকে কাজের অফারটি দেন এবং তারজ্ঞ গান ও সুর দুই ছবি নির্মাতাদের মনোগ্রাহী হয় যার ফলে তিনি সুযোগ পান দ্য কেরালা স্টোরিতে কাজ করবার।

বিশাখের গানের যাত্রা শুরু হয়েছিল সারেগামাপার মঞ্চ দিয়ে তারপর থেকে টানা ১২-১৩ বছর লেগে গেল স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠিত করতে। আনন্দবাজার অনলাইনে সঙ্গে খোলাখুলি আলাপচারিতায় মত্ত হয়েছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই যার দু চোখে স্বপ্ন ছিল শিল্পী হবার।অনুপ্রেরণা হিসেবে জীবনে ধ্রুবতারা মেনেছেন যে মানুষগুলিকে তারা হলেন মান্না দে লতামঙ্গেসকার কিশোর কুমার মোহাম্মদ রফি প্রমুখরা। ২০২১ সালে তিনি নন ফিচারস ফিল্মের জন্য জাতীয় পুরস্কার পান। তবে প্রথম থেকেই দ্য কেরালা স্টোরি যেভাবে খাতপ্রতিগাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা আমরা সবাই জানি। এই ঘটনা নতুন নয় এর আগে সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশ সেখানে বলা হয়েছিল রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করছে এই সিনেমা। সেদিনও কেউ থামেননি আজোও কেউ থামবেনা। তিনি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পদকে ভীষণ সম্মান করেন সে পদে যেই থাকুক না কেন তাঁকে যদি কোন সরকারি অনুষ্ঠানে দেখে বঙ্গভূষণ দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় তিনি কখনোই সে আমন্ত্রণ অগ্রাহ্য করবেন না কারণ তিনি মনে করেন কোন রাজনৈতিক দল তা দিচ্ছে না দিচ্ছে সরকার,তাই সরকারকে সম্মান জানানো সব সময় উচিত।

Related Post