মালদায় আমের গুটিতে কালো ছোপ ছোপ দাগ, আমের উৎপাদন অর্ধেক হবার আশঙ্কা

 news bazar24 :   আম গাছে মুকুল থেকে গুটি আসতে শুরু করেছে। এই সময় গুটি আমে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেওয়ায় চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অকালে ঝরে পড়ছে গুটিগুলি। এমনিতে আমের পক্ষে আবহাওয়া প্রতিকুল এখনও। আম  গরম  কালীন ফল। আমের ক্ষেত্রে যে হারে গরম পড়ার কথা, এখনও সেই আবহাওয়া পাওয়া যায়নি। দিনের বেলা তীব্র গরম থাকলেও ভোরের দিকে শীত এবং কখনও কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে। কালো ছোট দাগের কারণ হিসেবে এই প্রতিকূল আবহাওয়াই দায়ী। তারপর গোদের ওপর বিষ ফৌঁড়ার মতো দিন দশেক আগে একদিনের টানা বৃষ্টিতে এবার আমের মুকুলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। গড় ফলনের এবার ৩৫ শতাংশ কম আমের উৎপাদন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সেই সঙ্গে কালবৈশাখি ঝড়ের দাপট রয়েছে। ফলে ফলন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা মুশকিল। এরই মধ্যে আমের গুটিতে ছোপ ছোপ দাগ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। বৃষ্টির ফলে কিছু পোকার উপদ্রবও বেড়েছে। এর মধ্যে ছত্রাক জাতীয় পোকার উপদ্রব বেশি। উদ্যান পালন দপ্তর থেকে চাষিদের ছত্রাকনাশক হিসেবে কপার অক্সি ক্লোরাইড ৪ গ্রাম ১লিটার জলে মিশিয়ে স্প্রেকরার কথা বলা হচ্ছে পাশাপাশি ম্যাঙ্গো

হুপারেরও উৎপাত দেখা দিয়েছে। মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গে ধূসর বর্ণের এই পোকা মুকুল থেকে রস শুষে নেওয়ার ফলে মুকুল নষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে। এর জন্য সংবেদনশীল কীটনাশক অর্থাৎ সিষ্টেমিক ইনসেক্টিসাইভ স্প্রেকরার কথা বলা হচ্ছে। মুকুল ঝরে যাওয়ার ফলে ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলি এবার কম উৎপাদনের আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে, আগে যেসব প্রজাতির আমগাছে মুকুল এসেছে, অর্থাৎ আরলি ভ্যারাইটি আমের মধ্যে রয়েছে গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগের তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে। আবার দেরিতে এলেও আঘ্রপালি গাছের মুকুল কম ঝরেছে। গত বছর জেলায় ৩ লক্ষ ৮১ হাজার মেট্রকটন আম উৎপাদন হয়েছিল। এবার মরশুমের শুরুতে যে হারে মুকুল এসেছিল, তাতে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্ত বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে পড়ায় আমের উৎপাদন ৩৫ শতাংশ কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।