মালদহ মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী কি নির্দেশ দিলেন?

Newsbazar 24:মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙন রোধে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন কেন্দ্রের ভাঙন ঠেকাতে কেন্দ্র সরকার প্রায় কিছুই করেনি বললে চলে।
পুনর্বাসনে তাঁরা কোনও সহায়তা করেছে না ক্ষতিগ্রস্থদের কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণও দিচ্ছে না।কেন্দ্র যখন বাংলাদেশের সঙ্গে ফারাক্কা চুক্তি করেছিল। আমরা জল দিয়েছিলাম। তার ৭০০ কোটি টাকা এখনও দেয়নি। বিগত ৫ বছরে রাজ্য ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি গঙ্গা ভাঙন ঠেকাতে। আমরা কিছুটা আটকেছি। কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না। টাকাটা জলে চলে যাচ্ছে।মুখ্যসচিবকে বলব নীতি আয়োগের সঙ্গে। যদি এই ভাঙন নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের মতো সংস্থার সঙ্গে কথা বলা যায়,
এরই জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার, মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গঙ্গা ভাঙন রোধে ১০ বছরের প্রকল্প নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙন রুখতে প্রতি বছর রাজ্য সরকারের তরফে ৫০ কোটি করে দেওয়ার ঘোষণা করেন তিনি একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যারা টেন্ডার পাবে, তাদের ২০ বছরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতে হবে।শুধু বোলডার ফেলে পালিয়ে যাবে তা চলবে না। কন্ট্রাকটর দের উপর কেন্দ্রীয় ভাবে নজরদারি চলবে। মুখ্যসচিবকে বলব ভাঙন রোধে ভেটিভার ঘাস লাগাতে হবে। নদীভাঙনে বাড়ি তলিয়ে যাওয়া এড়াতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নদীর ধারের বাসিন্দাদের সতর্ক করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,দেখুন, যাতে কেউ নদী থেকে অন্তত ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি করতে না পারে
গঙ্গাভাঙনের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নীতি আয়োগের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রসংঘ বা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের থেকে মানবিক কারণে সহায়তা চাওয়ার আর্জি জানানোর কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মালদহ, মুর্শিদাবাদ দুজেলাতেই ভাঙন নিয়ে মালদহে প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই গঙ্গার ভাঙন নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন মমতা। অভিযোগ করেন, ভাঙন রোধে কেন্দ্রের তরফে কোনও আর্থিক সহায়তা মেলে না। এরপরেই আক্ষেপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,৫০ বছর পড়ে রয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না।