NewsBazar24:- বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল ইসরোর। তবে তাদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আচার্য সি ভি আনন্দ বোস কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। তারপরই ইসরোর দলের আসার কথা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু এখনই না আসার আবদার জানানো হল ইসরোকে।প্রশ্ন উঠেছে কেন বিশ্ববিদ্যালয় সময় চেয়েছে ইসরোর কাছে?যেহেতু কয়েকদিন আগেই যাদবপুরের দায়িত্ব পেয়েছেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সেই কারণে যে পরিমাণ নথি জোগাড় করা প্রয়োজন ছিল তা এখনও প্রস্তুত হয়নি। তাই ইসরোর কাছে সপ্তাহ খানেক সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে।তবে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকে ইসরোর প্রতিনিধি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করতে পারেন। গোটা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার পাশাপাশি হস্টেলও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তাঁদের। মূলত দেখা হবে উন্নত যেমন , টার্গেট ফিক্সিং, ভিডিও অ্যানালিটিক্স এর মতো প্রযুক্তি যাদবপুরে কাজ করবে কি না? রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি নিয়েও হতে পারে মিটিং।মূলত, র্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছিল। রাজ্যপাল এই নিয়ে ইসরোর সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। গত শুক্রবার ইসরোর সঙ্গে সেই সংক্রান্ত বৈঠকও করেছেন উপাচার্য। সেখানে প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের বলে জানা গিয়েছে। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ তখনই জানিয়েছিলেন, আগামী দিনে ইসরোর একটি টিম আসতে চলেছে যাদবপুরে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন যাদবপুরের উপাচার্য।