No Comments

প্রযুক্তির কল্যাণে রাস্তায় চলছে ড্রাইভার, ব্রেক ও স্টিয়ারিং ছাড়া গাড়ি। কোথায় জানতে পড়ুন।

newsbazar 24 ::প্রযুক্তি মানুষকে দিনে দিনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই আমাদের কল্পনার বাইরে। প্রযুক্তির  কল্যাণে বিজ্ঞানীরা এর আগে  আবিষ্কার করেছেন  ড্রাইভার বিহীন গাড়ি। এবার আরও একধাপ এগিয়ে তারা বের করেছেন ড্রাইভার , স্টিয়ারিং , ব্রেক ছাড়া গাড়ি।এই গাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে  রোবোসাস। ইতিমধ্যে এই রোবো্বাস   ড্রাইভার  , স্টিয়ারিং , ব্রেক ছাড়া রাস্তায় চলাফেরা করছে ।

সম্প্রতি উই রাইড (we ride) নামে এক চিনা অটোনমাস ড্রাইভিং কোম্পানি বাজারে চালু করল রোবো্বাস । বাসটি তে লাগছেনা কোন ড্রাইভার , না থাকছে ব্রেক আর না থাকছে স্টিয়ারিং তবুও দিব্যি রাস্তার যানজট এড়িয়ে খুব সুন্দর ভাবে চলছে । এমনই technology ব্যাবহার করা হয়েছে যাতে ট্র্যাফিক সিগন্যাল নিজে থকেই বুঝতে পারে অত্যাধুনিক এই বাসটি । অবাক ব্যাপার চালাতে কোন লোকের প্রয়োজন তো পড়ছেই না উপরুন্তু কোন স্টিয়ারিং , ব্রেক প্যাডেল ও থাকছে না । নিজে থেকেই নিজের গতি কন্ট্রোল করতে সক্ষম । 

WeRide Robobus মোটরযানটি বিদ্যুৎচালিত চিনের গুয়াংঝাউ আন্তর্জাতিক বায় আইল্যান্ডের রাস্তাই চলতে শুরু করেছে ।  যেহেতু এই গাড়ি  চালাতে কোন মানুষের প্রয়োজন পড়ে না তা রাস্তাই ঠিকমতো চলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তো ছিলই । বেজিং এ অবস্থিত সংবাদ সংস্থা Pandaily রিপোর্ট অনুযায়ী , দীর্ঘ দুই বছর ধরে এই বিদ্যুৎচালিত মোটরযানটির উপর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ই রাস্তায় চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়। ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে শহরের রাস্তায় ছুটে চলেছে এই গাড়ি । নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ড্রাইভিং এর সফলতা অর্জন করেছে এই যানবাহনটি । এমনকি এটি চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াতেও চলতে সক্ষম তেমনটায় খবর আছে । 

বর্তমানে গুয়াংঝাউ ইন্টারন্যাশনাল বায়ো আইল্যান্ডের কেবলমাত্র দুটি নির্দিষ্ট পথে এটিকে চালানো হচ্ছে। তবে বোঝায় যাচ্ছে  যে আগামী দিনে এর রুটের সংখ্যা আরো বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে । বর্তমানে সপ্তাহের সোম থেকে শুক্র সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং শনি ও রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিষেবা দেয় এই স্বয়ংচালিত মিনিবাসটি। 

 যাত্রীরা ‘WeRide Go’ অ্যাপের মাধ্যমে এর বর্তমান হালচাল যেমন বাস্তবিক অবস্থান ও চলমান অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। সম্পূর্ণ যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করবে এই পুরো ব্যাবস্থাটি ।

তবে পুরো সিস্টেমটি যাত্রীদের কাছে পরিষ্কার হওয়া দরকার । কারণ এর ব্যাবস্থাপনা না বুঝলে যাত্রীরা এই মোটরযান ব্যাবহার করতে অসুবিধেয় পড়বে । তাই Robobus vehicles-এ প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত থাকবেন যাত্রীদের এর কার্যকারিতা বোঝানোর  জন্য। পাশাপাশি WeRide সাপোর্ট সেন্টার, বৈদ্যুতিক গাড়িটিকে ‘রিয়েল-টাইম মনিটরিং’-এর কাজটি করবে। তবে বাসটিতে একটি জরুরী ভিত্তিক ‘ব্রেক বাটন’ রয়েছে, যাতে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সেটিকে ব্যবহার করা যায়।পরিবেশবান্ধব এই গাড়িটি সব দিক দিয়েই উন্নতমানের হলেও গাড়িটিতে কোনো চালক না থাকায় যাত্রীদের ভরসা অর্জন করতে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।