নববর্ষ ১৪৩১:: নববর্ষ উদযাপনে বিহু থেকে বৈশাখী গোটা দেশ মেতে ওঠে উৎসবে

Newsbazar24:আর মাত্র কয়েকদিন পর আমরা নতুন বছরকে আবাহন করতে চলেছি। অনেক আশা ও নতুন স্বপ্ন নিয়ে বিগত বছরের অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে পথ চলা শুরু হবে আরও একটি নতুন বছরের পথে। বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুনের আবাহনে মেতে উঠবে।
তবে নতুন বছরের আবাহন কেবলমাত্র বাংলাতেই নয় ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও চৈত্র সংক্রান্তি ও পয়লা বৈশাখ মহা ধুমধাম করে পালিত হয়। ভারতের অন্যান রাজ্যে ও এই দুটি দিনকে বিবিধ নামে অভিহিত করা হয়। যেমন-তামিলনাড়ুতে চৈত্র সংক্রান্তিকে ‘পুথান্ডু’ বলা হয়, কেরালায় ‘বিশু’, পাঞ্জাবে ‘বৈশাখী’, আবার ওড়িশায় ‘পানা সংক্রান্তি’ বলা হয়, আসামে পালিত হয় ‘রোঙ্গালি বিহু’ নামে। আবার ঐ দিনটিতে আম্বেদকর জয়ন্তী হিসাবে সমগ্র দেশে পালিত হয়ে থাকে।
পুথান্ডু:: হিন্দু সৌর ক্যালেন্ডারের সূচনায় প্রথম তামিল মাসকে বলা হয় পুথান্ডু। প্রচলিত বিশ্বাস ভগবান ব্রহ্মা এই দিনে সৃষ্টি শুরু করেছিলেন।পুথান্ডু, “পুথুবর্ষাম” এবং “বর্ষা পিরাপ্পু” নামেও পরিচিত। এই অনুষ্ঠান তামিলনাড়ু এবং পন্ডিচেরিতে মহা সমারোহে পালিত হয়। নানা বর্নাঢ্য অনুষ্ঠান , সুস্বাদু খাবার ও নানা রঙের সমাহার ও চোখে পড়ে এই অনুষ্ঠানে।
পানা সংক্রান্তি::ওড়িশায় এই দিনটি পানা সংক্রান্তি নামে পালিত হয়। ওড়িয়ারা এই দিনে তাদের নববর্ষের সূচনা করে। এটি আসন্ন গ্রীষ্মকালের সূচনাকেও চিহ্নিত করে৷ এদিন ধর্মপ্রাণ লোকেরা খুব ভোরে কাছাকাছি নদী/পুকুরে সংক্রান্তি স্নান করে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে সূর্য পূজা করে।মন্দির পরিদর্শন করে, উপবাস রাখে এবং সাধারণ নিরামিষ খাবার গ্রহণ করে।
বৈশাখী::উত্তর ও মধ্য ভারতে এই দিনটিতে বৈশাখী উদযাপন করা হয়। পঞ্জাব ও হরিয়ানার উত্তর দিক এবং দিল্লির কিছু অংশে এই দিনটি খুব ধুমধামের করে পালন করা হয়। সকলে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান করেন। এছাড়াও ফসল ফলনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপনের দিন হিসাবে এবং ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে শিখ সম্প্রদায় বৈশাখী পালন করেন।

পাঞ্জাবীদের বৈশাখী উৎসব
পাঞ্জাবীদের বৈশাখী উৎসব

বোহাগ বিহু::বোহাগ বিহু আসাম, মণিপুর এবং বাংলার বিভিন্ন অংশে এই সময়ে উদযাপন করা হয়। এই বিহুর দিন মাংস, চিড়া ও পিঠা জাতীয় খাবার তৈরি করা হয় বাড়িতে-বাড়িতে। একে অপরকে উপহার বিনিময়ও করেন তাঁরা। প্রবীণদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন সকলে এদিন। এছাড়াও নতুন জামাকাপড় পরে ঐতিহ্যবাহী বিহু নাচে মেতে ওঠেন অসমীয়ারা।
বিশু উৎসব:: কেরল ও কর্ণাটকের কিছু অংশে বছরের এই সময়ে বিশু উৎসব পালিত হয়। আতশবাজি, আলোর রোশনাইতে সেজে ওঠে সব বাড়ি। স্থানীয়ভাবে বিশ্বুপদাক্কম নামে পরিচিত এই উৎসব। নতুন জামা-কাপড় পরে, রকমারি খাওয়া-দাওয়া ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে পালন হয় এই শুভ দিন।