গাড়িতে বা বাইকে তেল ভরতে গিয়ে কিভাবে প্রতারিত হচ্ছেন, জানতে পড়ুন

Newsbazar24:পেট্রোল পাম্পে পেট্রোল বা ডিজেল কিনতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন অনেকে । তেলের পরিমাণ কম দেওয়ার অভিযোগ উঠছে বারে বারে একশ্রেণীর অসাধু পেট্রোল পাম্প মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি রয়েছে ভেজাল তেলের মত বিষয়ও। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। কিছু সহজ উপায় ব্যবহার করলে আপনি পেট্রোল পাম্পে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে পারেন –
১. অনেক অসাধু পেট্রোল পাম্প মালিক তেল ভরার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কিছুটা লম্বা পাইপের ব্যবহার করেন। এর জন্য তেল ভরার সময় মিটার রিডিংকে ফাঁকি দিয়ে ক্রেতাকে কম তেল দিয়ে ঠকানো হয়। আপনি যদি এক লিটার তেল ভরেন তাহলে দেখা যাবে পাইপের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ মিলিলিটার তেল থেকে যায়। এভাবে দৈনিক যদি ১০০ থেকে ১৫০ ক্রেতা তেল ভরেন, ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকের কতটা লাভ একবার ভেবে দেখুন। পাশাপাশি প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে তেল কেনার আগে দেখে নেবেন তেল নেওয়ার মেশিনটি যাতে “শূন্য” থেকে শুরু হয়। কখনোই ১০০ টাকা ২০০ টাকা বা ৫০০ টাকার তেল ভরবেন না এর বদলে ১১০, ২২০ বা ৫৪০ টাকার তেল ভরুন।
তেল ভরার পরেও যদি আপনার গাড়ির তেলের রিডিংয়ে সন্তুষ্ট না হন, সেক্ষেত্রে আপনি মিটার টেস্ট করতে পারেন। পাম্পের কর্মচারী বিনামূল্যে এই টেস্ট করতে বাধ্য।
২. আমরা অনেকেই গাড়ি বা বাইকে পেট্রোল একদম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তেল ভরি না। এটি গাড়ির পক্ষে ক্ষতিকর। অন্যদিকে, খালি ট্যাঙ্কে পেট্রোল ভরলে,ট্যাংকের বাতাসের সাথে ওই পেট্রোল কিছুটা মিশে যায়।ফলে পেট্রোলের পরিমাণ কমে যায়।
৩. পাম্পে তেল ভরার সময় সবসময় মেশিনের দিকে নজর রাখুন। যদি মেশিনের মিটারটি বারবার বন্ধ বা থেমে থেমে চলতে থাকে, সেক্ষেত্রে মেশিনে কোন কারচুপি করা হয়ে থাকতে পারে। এইরকম মেশিন থেকে তেল ভরবেন না।
৪. অনেক সময় পেট্রোল বা ডিজেলে কেরোসিন বা অন্যান্য অশুদ্ধি মেশানো হয়। এইরকম ভেজাল তেলের হাত থেকে বাঁচতে ফিল্টার টেস্ট করতে পারেন। আপনার সন্দেহ হলে আপনি পেট্রোলের ফিল্টার পেপার টেস্ট করাতে পারেন।
কয়েক ফোঁটা তেল সাদা কাগজে ঢেলে দেখা হয়,যে কাগজে কোনো দাগ আছে কি না। যদি ফিল্টার পেপারে কোন দাগ থাকে,তাহলে বুঝতে হবে তেলে ভেজাল রয়েছে।