খাদ্যশস্যের মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ টাকা কিলো দরে চাল বাজারে আনছে

Newsbazar 24:ভারত সরকার খুব শীঘ্রই বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে ‘ভারত চাল’। চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের মোকাবিলায় সরকার ২৫ টাকা দরে ভাল চাল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । অবশ্য এর আগে ভারত আটা, ভারত ডাল বিক্রি করেছেন বাজারের চেয়ে অনেক কম দামে।খাদ্যশস্যে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ টাকা কিলো দরে ভাল চাল দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে বলে সূত্রের খবর। ন্যাশানাল এগ্রিকালচার কো – অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া ন্যাশানাল কো – অপারেটিভ কনজ্যুমারস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড, কেন্দ্রীয় ভাণ্ডার আউটলেট ও সরকারি সংস্থাগুলির মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, চালের সর্বভারতীয় গড় খুচরো মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরই এই সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে কেজি প্রতি চালের দাম প্রায় ৪৩ টাকা ৩ পয়সায় পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনায় চালের দাম বেড়েছে ১৪.১ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমানে উপভোক্তাদের ভারত গমের আটা ও চানা ডাল কিলোপ্রতি ২৭টাকা ৫০ পয়সা ও ৬০ টাকা কেজি দরে সরবরাহ করছে। আগামী দিনে এভাবেই চাল সরবরাহ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
চালের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আনার জন্য সম্প্রতি ভারত সরকার, বাসমতী ছাড়া যে কোনও চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাসমতী চালের জন্য রফতানি ফ্লোর মূল্য আরোপ সহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে। ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়ানোর জন্য ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমের চাল অফার করছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরেই খাদ্যশস্যের দাম ১০.৩ শতাংশ বেড়েছে। অক্টোবরে ৬.৬১ শতাংশ থেকে বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির এই বৃদ্ধি সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচকের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। অর্থনীতিবিদদের মতে ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্যের উদ্যোগ ইঙ্গিত দেয় যে অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধির পরিসংখ্যান আয়ের পিরামিডে নিজের অবস্থান সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে না। নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠীগুলি এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আগামী দিনে খাদ্যশস্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।