অভিষেক’কে ওয়েলকাম জানাতে রতুয়ায় ঘাসফুলে ভাঙন ধরালো কংগ্রেস

     news bazar24: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার আগে, তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) আরও একবার মালদহের রতুয়ায় ভাঙনের কবলে। তৃণমূল নেতা প্রদীপ সাহার পর জেলা তৃণমূল নেতা ও রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্বামী মহম্মদ হেসামুদ্দিন রতুয়ায় তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।

কি ঘটলো মালদার রতুয়াতে?

   এদিন তিন শতাধিক তৃণমূল কর্মী হেসামুদ্দিনের সঙ্গে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। আজ কংগ্রেসে যোগদানকারী তৃণমূল নেতা মহম্মদ হেসামুদ্দিনের মতে, এই দলত্যাগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।কলকাতা বা শহরের নেতাদের অহংকারের প্রতিবাদ।

 এদিকে কংগ্রেস নেতা ও সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীর অভিমত, জনগণ দুর্নীতিবাজ সরকারের পরিবর্তন চায়। সেজন্য বাংলার গ্রামে গ্রামে মানুষ এই দলটাকে ছাড়ছেন। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব দলবদলকে গুরুত্ব দেওয়ার রাস্তা  থেকে সরে আসছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূল কে পরাস্ত করেন।   বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস সব হিসাব উল্টে দিয়ে তৃণমূল হটানোর বার্তা দেন।

এদিকে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বহু দিন পেরিয়ে গেলেও বিজয়ী কংগ্রেস প্রার্থীরা শপথ নিতে পারেননি। দেরি কেন? বিষয়টি জানতে বায়রন বিশ্বাস বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। তারিখ নির্ধারণ করবেন রাজ্যপাল। অধ্যক্ষ ও পরিষদ মন্ত্রী ড. সাধারণত, বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণের আয়োজন করা হয় বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন। বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলাকালীনও কেন বায়রন বিশ্বাসকে শপথ করানো হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। অবশেষে 22 মার্চ সাগরদিঘির বিধায়ক শপথ নেন।

কিন্তু এই রেজাল্টের পর অনেক মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় প্রাক্তম কংগ্রেস কর্মীদের মনে অনেক  পরিবর্তন এসেছে। জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলায় কংগ্রেসের শক্তির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই কয়েক মাষের মধ্যে  প্রচুর সংখ্যায় তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে অধীরের হাত ধরে কংগ্রেস শিবিরে যোগ দেয়।     যদিও তৃণমূল-বিজেপি দলগুলি এই দল বদলের খবর অস্বীকার করেছে। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ঘটনা। এই দিনে মোট 1570 জন রাজনৈতিক কর্মী বিভিন্ন দল থেকে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। এবারে মালদার  রতুয়ায় এই কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।