রেজিস্টারে সই নিয়ে মুখ খুললেন ‘আলু’

news bazar24:
মধ্যরাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এরপর মঙ্গলবার তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণারত অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু বুধবার ক্যাম্পাসে পৌঁছান। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি অরিত্র মজুমদারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তবে সেখানে প্রবেশ করার আগে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন।

তিনি জানান দোষীরা চিহ্নিত হোক এই তাই তিনি চান। এখন তদন্ত চলছে সেই কারণে এখন কিছু বেশি বলবেন না। সেই সঙ্গে রেজিস্টারে সই করা নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। হোস্টেলে তিনতলা বারান্দা থেকে ৯ আগস্ট মধ্যরাতে নদীয়ার বগুলার দিকে পড়তে আসা ছাত্রটি পড়ে যায়, এরপর ১০ই আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার অরিত্র আনন্দবাজারকে জানিয়েছিলেন, তিনি ক্যাম্পাসে ১০ তারিখ সকালে গিয়েছিলেন তারপরই তিনি ট্রেন ধরার জন্য হাওড়া যান। অনেকেই দাবি করছেন যে ১১ তারিখ রেজিষ্টারে অরিত্রের সই ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে কিভাবে ১১ তারিখ তার সই এলো রেজিস্টারে?

যদিও তিনি এই প্রশ্নের কোনরকম জবাব দেয়নি। পরে তিনি জানান যে, তিনি ভুল করে ১১ তারিখের ঘরে সই করে ফেলেছিলেন। যদিও এই ঘটনার পরবর্তী থেকে আলুর না থাকাটা যথেষ্ট সন্দেহের সৃষ্টি করেছিল। আলুর বক্তব্য তিনি কাশ্মীরে ট্রেকিং এর জন্য গেছিলেন।

এবং তিনি ফিরেছেন সোমবার রাতে। বগুলার ওই ছাত্রের মৃত্যুর পরবর্তীকালে ক্যাম্পাসে শোনা যায় আলুর দাপটের কথা। অনেকের মতে, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ সাথে সাথে হোস্টেলেও তার প্রভাব ছিল। সেই কারণেই এইরকম একটি গোটা ব্যাপারে আলুর না থাকা যথেষ্ট সন্দেহ বাড়িয়েছে। আলু জানান, সোমবার তিনি শহরে ফেরেন এরপর এই মঙ্গলবার সেই টিকিটের একটি ছবি তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তাকে ডেকে জেরাও করেছিল পুলিশ। তবে অরিত্র জানিয়েছেন যে, তিনি চান যে দোষীরা চিহ্নিত হোক, সেই কারণেই সমস্ত সাহায্য করবেন।