বাংলাদেশের  উদ্দেশ্যটা ভাল না, নিজের চোখে দেখে এলাম…’, সত্যি কলকাতাকে দখলের ছক কষছে ওরা ? বাংলাদেশ থেকে কোনওক্রমে ভারতে ঢুকেই অনেকেই দিলেন ‘‘ক্লু’

newsbazar24 ঃ ‘আমরা চার দিনের মধ্যে কলকাতা দখল করব…’ এ ধরনের বিক্ষিপ্ত মুলক কথাবার্তা দুই দেশের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। বাংলাদেশ ফেরত মানুষ এখন তাই মনে করে। কিন্তু বাংলাদেশ কি কোনো জটিল পরিকল্পনায় বসে আছে ? পেট্রাপোল হয়ে ভারতে আসা বাংলাদেশিদের মুখ থেকে এখন এই আতঙ্ক প্রকাশ করতে শোনা গেছে।

সেখানকার একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী বলেন, “এ ধরনের কথাবার্তা বাংলাদেশে সমস্যা বাড়াচ্ছে। বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। সব মুসলমান একথা বলে না। ওখানকার একটা দল এসব করছে। শুনেছি ওরা কলকাতা দখল করবে। এতে জটিলতা বাড়ছে। সেখানে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে। যদি ১০০ জনের মধ্যে দুই একজন ভালো থাকে তবে এটি হবে না।

চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছেন। ওপার বাংলার একজন সাধারণ গৃহিণী। সীমান্তের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আপনি বাংলাদেশে থাকতে পারবেন না। কলকাতা দখলের কথা বললে কী হবে? তারা ভারতের সন্তান। এতে বাড়ছে আতঙ্ক ও উত্তেজনা। এটা কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়।”

বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন পাল। তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়।’ পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “চোররা বাংলাদেশে গোপনে চাঁদাবাজি করছে এবং ডাকাতি করছে। বিশেষ করে হিন্দুদের বাড়িতে। মেয়েরা বাইরে যেতে পারছে না। তারা বাজারে যেতেও পারছে না। চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়ে জটিলতা বাড়াচ্ছে তারা। তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। আমি যা দেখেছি, ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভেবে তারা এসব করছে।

বাংলাদেশে ধীরে ধীরে ভারত বিরোধিতা বাড়ছে। এ অবস্থায় একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যাতে দেখা যায় বাংলাদেশের সাবেক সেনা সদস্যরা হুমকি দিচ্ছেন। তারা কলকাতা দখল করে ভারতের মানচিত্র পরিবর্তনের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতিদিন অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসছেন। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না অনেকেই। মানুষ ভয়ে কথা বলতে সাহস পায় না। কিন্তু যারা এটা বলছেন তারা সাহস করে বলছেন এই বিক্ষিপ্ত শব্দযুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। এটা বন্ধ না হলে আরও জটিলতা দেখা দেবে।

শান্তি ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। কথা বলার সময়ও তাদের মুখে অসহায়ত্বের ছাপ। ওপার বাংলার মানুষের মুখ দেখলেই বোঝা যায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভালো নেই।