খুদে এক বালকের আশ্চর্য কীর্তি, উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম

Newsbazar 24:বয়স মাত্র ৫ বছর। পড়ে একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের আপার কেজিতে। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়েও এই বয়সে বাংলা কবিতার আবৃত্তিতে ঝড় তুলে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছে সে। খুদে ওই বালকের নাম মাহফুজ । দেশের সর্বকনিষ্ঠ আবৃত্তি কার হিসেবে নজির গড়ল সে। আগামী দিনে তার ইচ্ছা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম তোলার।
মাত্র ৮ মিনিট ৫ সেকেন্ডে একটানা ৫০টি কবিতা আবৃত্তি করে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলেছে সে। ইতিমধ্যেই ওই সংস্থার পক্ষ থেকে তার কাছে মেডেল, শংসাপত্র সহ অন্যান্য স্বীকৃতি এসে পৌঁছে।
এই খুদে মাহফুজকে নিয়ে শুধু তাঁর পরিবারই নয়, গর্বিত মালদহের অনেক বাচিক শিল্পীই। মালদহ জেলা সাংস্কৃতিক পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকেও এই খুদে আবৃত্তিকারকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ইংলিশবাজারের একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের আপার কেজি’র ছাত্র মাহফুজ। বাবা মসফুদার রহমান মালদহ কলেজের শিক্ষক। মা তাহাসিনা আফরিনের কাছে আবৃত্তি শিক্ষার হাতেখড়ি মাহফুজের। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পড়ুয়া হলেও শৈশব থেকেই তার মধ্যে বাংলা কবিতা আবৃত্তির প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেন তার মা। এখন গড়গড় করে এক নাগাড়ে প্রখ্যাত কবিদের কবিতা শ্রুতিমধুর কণ্ঠে আবৃত্তি করতে পারে মাহফুজ।
এই শিশু আবৃত্তিকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৪৮টি কবিতা এবং সত্যজিত্‍ রায়ের দু’টি কবিতা, কবির নাম সহ আবৃত্তি করে বিস্মিত করেছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস ২০২৩ কর্তৃপক্ষকে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ ওই শিশুর প্রতিভার কথা জেনে তাঁর আবৃত্তির ভিডিও চেয়ে পাঠান। সেই ভিডিও পরীক্ষা করার পরেই স্বীকৃতি দেওয়া হয় মালদহের এই খুদে পড়ুয়াকে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পড়ুয়া হলেও মাতৃভাষার প্রতি এই শিশুর আকর্ষণ তৈরি করতে চেষ্টার অন্ত নেই তার পরিবারের। মাহফুজের মা তাহসিনা আফরিন বলেন, ইদানিং ইংরাজি শিক্ষাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের সন্তান ইংরাজি শিখুক। কিন্তু নিজের মাতৃভাষার প্রতি তার ভালোবাসা ও দরদ যেন সবচেয়ে বেশি থাকে। আমরা বাঙালি হিসেবে গর্বিত। সুতরাং বাংলা ভাষাকে ভুলে গেলে চলবে না। বাংলা ভাষাকে যেন আমাদের সন্তান প্রাধান্য দেয়, সেই চেষ্টাই তার শৈশব থেকে করে চলেছি আমরা। কবিতা এবং আবৃত্তির পাঠ সেই চেষ্টারই একটি অঙ্গ।
মা বাবা সহ মাহফুজের ইচ্ছা আগামীদিনে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও বাংলা আবৃত্তির মাধ্যমে জায়গা করে নেওয়ার।