এগরার পর বজবজ আবারও বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, পুলিশের নজরদারি প্রশ্নের মুখে

Newsbazar 24: এগরার খাদিকুলের পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগানার বজবজে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় একটি বাড়ির দোতলার অস্থায়ী ছাউনির একাংশ ধসে গিয়েছে। চারদিকে কাঠকয়লা পড়ে রয়েছে। পুড়ে গিয়েছে ঘরের যাবতীয় জিনিসপত্র। ঘটনাটি ঘটেছে বজবজের নন্দরামপুরের দাস পাড়ায়। এখনওপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ওই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এদের দুজনের মধ্যে ২ মহিলা।
রবিবার সন্ধে সাড় সাতটার পরে ওই বাজির গোডাউনে বিকট বিস্ফোরণ কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। জানা যাচ্ছে ২ জন ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েচেন আরও একজন। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।
ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসে পুলিস। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটিকে ঘিরে ফেলে পুলিস। কারখানার ছাদে মজুত বাজিতে আগুন লেগেই বিস্ফোরণ ঘটে যায় বলে জানা যাচ্ছে। ছাদের উপরে শোড বানিয়েই বাজি রাখা হয়েছিল। সেখানে কাজ করছিলেন ২ মহিলা। নিষিদ্ধ চকলেট বাজিও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে কারখানা চত্বরে। কারখানায় অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থা চেখে পড়েনি।
সূত্রের খবর, বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর শব্দবাজি। তার সঙ্গেই বারুদ জাতীয় উপাদান ও সুতুলি দড়ি মিলেছে। এখানে বাজি মজুত করা হত বলে অভিযোগ। সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ আচমকা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। তারপর দাউ দাউ করে আগুন। সংকীর্ণ রাস্তায় দমকল আসতেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। ওই বাড়িতে দোতলার উপর বাজির গোডাউন তৈরি হয়েছিল বলে খবর। প্রশ্ন উঠেছে এখানে কি শব্দ বাজি তৈরি হত? নাকি বাজির আড়ালে তৈরি হত বোমা?
এদিকে এই বিস্ফোরণের পরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, নবজোয়ারে এনিয়ে আলোচনা হবেনা। তবে বাংলার মানুষের সুরক্ষা এই সরকারের হাতে কতটা থাকবে তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে। এনিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, তাপসী মালিককে যে সিপিএম পুড়িয়ে মেরেছিল সেই সিপিএমের মুখে এসব মানায় না। আর অধীর চৌধুরীকেও এসব শোভা পায় না।