আরজিকর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ২১ জন দুঁদে আইনজীবী, প্রশ্ন সরকার বিচার চান কি?

Newsbazar24: সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ২১ জন দুঁদে আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতার হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছেন এবং শাসকদলের নেতাকর্মীরা ও পথে নেমেছেন সেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করে একাধিক আইনজীবীকে কেন নিয়োগ করা হলো এই প্রশ্ন উঠছে? মানুষের করের কোটি কোটি টাকা একজন নির্যাতিতার পক্ষে খরচা না করে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে এই প্রশ্ন উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের মুখ্য বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি এই ঘটনাকে একটি ইস্যু করতে চাইছে। গেরূয়া শিবিরের দাবি, একদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসক ও তাঁর হতভাগ্য বাবা-মা, অপরদিকে আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই লড়াইয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ জয়ী হবেন বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর কাণ্ডের মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনছে শীর্ষ আদালত। এই মামলায় বিভিন্ন মহলের আইনজীবীরা আছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবীর সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ নাগরিকদের একাংশ।
এই বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘আজ কপিল সিব্বলের নেতৃত্বে ভারতবর্ষের বড় বড় আইনজীবীরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে। তাঁরা আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ও তার পরিবারের পক্ষে নেই। তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত সন্দীপ ঘোষের পৃষ্ঠপোষকদের দিকে আছেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের পক্ষে আছেন। ন্যায়বিচার এবং ন্যায়ের পক্ষে নেই তাঁরা।’
কপিল সিবলের উদ্যেশ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, ‘আইনজীবীরা যে কারও হয়ে মামলা লড়তে পারেন। কিন্তু এমন একজন আছেন, যিনি সবসময় মাওবাদী, জঙ্গি, অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, দেশবিরোধীর মতো লোকেদের হয়ে দাঁড়ান। মানুষ স্পষ্টতই সেটা দেখতে পাচ্ছে। হয়ত টাকা এবং মানসিকতাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।’
অন্যদিকে, বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, ‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় কি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলের নেতৃত্বে ২১ জন আইনজীবী। যারা নির্যাতিতার পক্ষে না দাঁড়িয়ে দুর্নীতিবাজ এবং ক্ষমতাশালী লোকেদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।’