সারা বাংলা কীর্তন প্রতিযোগিতায় প্রথম কীর্তনীয়া শ্রীমতি কৃষ্ণাশ্রী গরাই

Newsbazar24:কীর্তন বাংলা গানের একটি ধারা।বাংলার পদাবলী ‘কীর্তন’ ভারতীয় সংগীতের একটি অধ্যায়, যার সাংগীতিক উপাদান, ভাষা, দর্শন এবং নান্দনিক আবেদন আকৃষ্ট করে সকলকে। বর্তমানে বাংলা সংগীতের এই সুবিশাল সম্পদ সঠিক সংরক্ষণ ও চর্চার অভাবে শিক্ষিত এবং রুচিশীল গুণগ্রাহীর কদর পায় না। সেই সব হারিয়ে যাওয়া, অপ্রচলিত উচ্চাঙ্গের কীর্তনকে জনসমক্ষে ফিরিয়ে আনার এক অভিনব উদ্যোগ কলকাতা ঈগল হাইক ডট কমের। এই সংস্থার উদ্যোগে কীর্তন প্রতিযোগিতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল ডিসেম্বরের ১১ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ অবধি। এই প্রতিযোগিতায় ৫০ জন কীর্তনীয়া অংশগ্রহণ করেন এবং প্রথম পুরস্কার পান কীর্তনিয়া শ্রীমতি কৃষ্ণাশ্রী গরাই। প্রতিযোগিতায় প্রশ্ন ছিল বেশ অভিনব। প্রতিযোগিতার বিচারকদের কাছ থেকে জানা যায় কৃষ্ণাশ্রী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এই বয়সে এত ভালো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, তিনি অদ্বিতীয়। কৃষ্ণশ্রী কীর্তন জগতের অনুপ্রাণিত হয়েছেন নিজের দাদুর কাছ থেকে। তিনি কীর্ত্তন শিক্ষা গ্রহণ করেছেন বিখ্যাত কীর্তনীয়া পলাশ সরকার, গৌতম দাস বৈষ্ণব, বিশ্বনাথ কবিরাজ, সঞ্জয় বংশী ও পীযুষ বিশ্বাস এর কাছ থেকে। অআর জানা যায় তিনি এখন কলেজ পড়ুয়া; সংস্কৃত বিশেষজ্ঞ।
কৃষ্ণাশ্রী গরাই এর সাফল্যে দুর্গাপুরে এক বিরাট পথসভার আয়োজন করা হয়। সেই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক দপ্তরের সিনিয়র সুপার ইনটেনডেন্ট বরুন মন্ডল, সর্বভাগবত পাঠাজ্ঞ শ্রী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়
Eaglehike এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু বাবু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণ বাধ্যকরের পশ্চিম বর্ধমান ঘেরানার ঢাকের সম্প্রদায়, যোগমায়া ছৌ নৃত্য দল, শব্দ আয়োজনে সুরজিৎ ও সঞ্চালনায় পায়েল। কৃষ্ণশ্রীর সাফল্যে শুধু বঙ্গবাসী নয় সারা ভারতবাসী আপ্লুত, আনন্দিত ও গর্বিত।