সারা বছর ধরে নিজেই গনেশের পূজা করুন,আর দেখুন চমৎকার ! জেনে নিন কিভাবে করবেন ?

দেব রায় ঃ  কথায় বলে গণেশের উপাসনা করলে যাবতীয় দুর্ভোগ কেটে যায়। আর

পৌরাণিক শাস্ত্র মতে যে কোনও শুভ কাজ শুরু করার আগে গণেশের পুজো করা দরকরা। এমন কি গণেশকে দর্শন করলেই সকলের মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।অনেক মানুষই আছেন, গণেশকে লাড্ডু দিয়ে সন্তুষ্ট করে তবেই শুভকাজ শুরু করে থাকেন ।

ভগবান শিব ও পার্বতীর ছোট পুত্র গণেশ,  মঙ্গলমূর্তি, গজানন, গণপতি সহ বিভিন্ন অনেক নামে পরিচিত।

শিব পুরাণ মতে বুধবার গণেশের প্রতি উৎসর্গীকৃত। আর তাই এই দিনে গণেশের বিশেষ পুজো বা আরতি হয়। এমনকী যাঁরা নতুন ব্যবসা শুরু করছেন, গৃহপ্রবেশ করছেন কিংবা বিবাহ করতে চলেছেন তাঁরাও এই দিনে গণেশের পুজো করে থাকেন । এই দিনটি নিষ্ঠাভরে পুজো করলে মনে করা হয় ভাঁড়ার থাকে পূর্ণ। জীবনে শান্তি বজায় থাকে। আর সঙ্গে যদি লক্ষ্মীরও পুজো করা হয় তাহলে সিদ্ধিদাতার কৃপাদৃষ্টি থাকে সারা বছর।আর্থিক অনটন দূর হয়।
গনেশ দেবতার পূজা করবেন কি করে ?

প্রতি বছর সপ্তাহের বুধবার করে  গণেশের চরণে দুর্বা নিবেদন করুন। পুজোতে বসার আগে সিঁদুর, আতপ চাল, দুর্বা আর ফুল সাজিয়ে বসুন। গণেশকে বেলপাতা দিতে পারেন।
 সেই সঙ্গে কোনও একটি লাল ফুলে পুজো সারুন। প্রসাদে মোদক আর ফল দিতে পারলে ভালো। নইলে লাড্ডু দিলেও চলবে। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অবশ্যই রাখবেন। সুগন্ধী ধূপ জ্বালুন। সেই সঙ্গে ঘি এর প্রদীপ দিন।এতে  গৃহশান্তি বজায় থাকবে।

ধ্যান মন্ত্র , এবার একমনে ১০৮ বার ওম গণ গণপাতায় নমঃ এই মন্ত্র জপ করুন।

বারণ ঃ  গনেশ ঠাকুর কে তুলসীপাতা দেবেন না। শাস্ত্র এমনই বলছে ।

ব্যাবসার উন্নতি করবেন কি করে ?

আপনি যদি ব্যবাসা করেন বা ব্যবসায় উন্নতি করতে চান  তাহলে  প্রতি বুধবার গণেশের কাছে গোটা হলুদ নিবেদন করুন।

বিয়েতে বাঁধা আসলে কি করবেন ?

 যাঁদের বিয়েতে বার বার বাধা আসছে, মনের মতো পাত্র কিংবা পাত্রী পাচ্ছেন না , তাঁরা গণেশ আরতির সময় ২১টি পাটালি গুড়ের টুকরো কিংবা একটি থালায় ২১টি গুড়ের নৈবেদ্য সাজিয়ে নিবেদন করুন। সেই সঙ্গে ২১ টি দুর্বা। আর মন দিয়ে গণেশের আরতি করুন। ফল পাবেনই।

গনেশের প্রিয় মাসের পূজা কোন সময় ?

কার্তিকের সন্ধ্যায় তুলসী তলায় অবশ্যই প্রদীপ বা মোমবাতি দেবেন। এছাড়াও গণেশের বন্দনার পর শাঁখ অবশ্যই বাজাবেন। কার্তিক মাসের প্রতি বুধবার দুপুর বা সন্ধ্যায় যদি গণেশকে পায়েস নিবেদন করতে পারেন তাহলে খুবই তুষ্ট হন সিদ্ধিদাতা। বলা হয় এর ফলে সংসারে কোনও দুঃখ, কষ্ট থাকে না। ভাঁড়ার থাকে পূর্ণ। সেই সঙ্গে বাড়িতে অর্থাগমও হয়। এই  ভোগ নিবেদন করার পর তা আরও কমপক্ষে পাঁচ জনের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে তবেই নিজে খাবেন।

আরও পড়ুন

কেমন গনেশ মূর্তি পূজা করলে সংসার বা ব্যবসায় নেমে আসবে সমৃদ্ধি? কি বলছে শাস্ত্র ?