শিক্ষকের পর রেশন ডিলারশিপেও দুর্নীতি, অভিযুক্ত তৃণমূল ব্লক সভানেত্রী

Newsbazar 24:-রেশনের ডিলারশিপ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠল ব্লক তৃণমূল সভানেত্রীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে তিনি তার স্বামীকে রেশনের ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে মালদহ জেলার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভানেত্রী রোকসানা পারভীন তার
পদ ব্যবহার করে স্বামী আফসার আলিকে রেশনের ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধী রাও ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

জানা যায় রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের সাহাপুরে রেশন ডিলারশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি খাদ্য নিয়ামক দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। সেই অনুযায়ী আফসার আলিকে রেশন ডিলার নিয়োগও করা হয়। কিন্তু এই নিয়োগ ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে আফসার আলি রতুয়া ১ নম্বর ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী রুকসানা পারভিনের স্বামী ্। অভিযোগ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাঁকে রেশন ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে জেলা খাদ্য দফতর ও মালদা জেলাশাসকের কাছে। সাথে সাথে মেল করে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ঐ রেশন ডিলারশিপের জন্য এক আবেদনকারী শেখ আতাউরের অভিযোগ, সমস্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে ডিলারশিপ দেওয়া হয়নি। প্রভাব খাটিয়ে স্বামীকে ডিলারশিপ পাইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সমস্ত জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। প্রয়োজনে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করব।’যদিও তৃণমূল সভানেত্রী রুকসানা পারভীন জানিয়েছেন,’আমি ২০২২ সালে পদ পেয়েছি। রেশন ডিলারশিপের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আগে থেকেই চলছিল।’ ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে এলাকায়।
এই ঘটনায় দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন,’একদিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে চলছে রাজ্য জুড়ে আলোড়ন এর মধ্যে প্রকাশ্যে এলো রেশন ডিলার নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি। তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এই কোম্পানির কর্মী জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই টাকা ছাড়া তৃণমূলে কোন কাজ হয় না। চাকরি ও রেশন ডিলারশিপ সব বিক্রি হচ্ছে।’ যদিও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,’নিয়ম বহিভূতভাবে ডিলারশিপ নিয়োগ হলে বাতিল হবে এখানে দল বলে কাউকে বেহাত করা হবে না।’ জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরে নিয়ামক মানিক সরকারের বক্তব্য, ‘অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা নিয়ে জেলা তৃণমূল শিবির খুবই অস্বস্তিতে।