ভারতের দু’দিকে পাকিস্তান  বানানোর চক্রান্ত , কারা করছে এই চক্রান্ত ? কোন কারণে এমন আশঙ্কা ?

news bazar24: হিন্দুদের রক্ষা করার দায়িত্ব ভারত সরকারের। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত বাংলাদেশের বিষয়টি খতিয়ে দেখা। বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। CAA-কে নিয়ে সুর তুলেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরে নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় আক্রমণের সুর বাড়িয়ে বলেন , “মমতার মুখে হিন্দু শব্দটা শুনলেই দুই হাতে তালি দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু, আপনি বলেন তাহলে সিএএ জরুরি ছিল। ওপারের হিন্দুদের এপারে নিয়ে চলে আসার কথা বলছেন। আনতে পারা যাচ্ছে না তো আপনার জন্য।”

প্রসঙ্গত, দিন যত যাচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ইতিমধ্যেই ঢাকার মাধ্যমে সে দেশে হিন্দুদের ওপর ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি দেখে উভয় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমন কল্যাণ লাহিড়ীকেও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তিনি অকপটে বলেছেন, “একজন বাংলাদেশি নাগরিকের ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে তিনি এখন বাংলাদেশি।

বাংলাদেশে অশান্তি চলছে। বাংলাদেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই মুহুর্তে, আবেদনটি সেখানে সরকারের কাছে এবং সেখানে সরকারের কাছে হবে। তবে সেখানে একটি বড় সংখ্যায় সংখ্যালঘু রয়েছে। জনসংখ্যার বিষয়ে ভারত সরকার দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের এই অস্থিরতার পেছনে পাকিস্তান ও চীনের মতো বহিরাগত শক্তি আছে, তাহলে কি সত্যিই ভারতকে সমস্যায় ফেলার নতুন কোনো চক্রান্ত করা হচ্ছে ?

ইমন কল্যাণ লাহিড়ীর মতে, “পাকিস্তান ও চীনের মতো বহিরাগত শক্তির সাহায্যে যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা চলছে। অনেকেই চায় আমরা বাংলাদেশে র সাথে যুদ্ধ করি । তারা চায় তিন-চার বছর যুদ্ধ চলুক। এবং ভারতের উভয় পক্ষই পাকিস্তানে পরিণত হবে। যদিও তিনি দাবি করেন, এই উসকানিতে নতিস্বীকার করে লাভ নেই। তিনি বলেন, “কেন আমরা এই প্ররোচনায় নতি স্বীকার করব? ভারত বহু ধর্ম, বহু জাতি এবং বহু মানুষের দেশ। আমরা এত বছর ধরে আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে বেঁচে আছি। এখানে বড় কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি। যা হয়েছে তা ভারতের মধ্যেই সমাধান করা হয়েছে।”