ব্রিটেনে ক্ষমতায় বসতে চলেছেন কের স্টার্মার-এর নেতৃত্বে লেবার পার্টি, পরাজয় স্বীকার ঋষি সুনকের

Newsbazar24:ইউনাইটেড কিংডম অর্থাৎ বৃটেনে সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের যে ট্রেন্ড সামনে আসছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ভরাডুবি হতে যাচ্ছে। আর বিরোধী দল কের স্টার্মার-এর নেতৃত্বে লেবার পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। প্রাথমিক ফল ঘোষণায় ৬৫০ আসনের হাউস অফ কমনসের নির্বাচনে লেবার পার্টি জিতছে ৪১০-টি আসনে। গতবারের চেয়ে ২০৯-টি বেশি। অর্থাৎ বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন কের স্টার্মার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের কনজারভেটিভ পার্টি পর্যুদস্ত হওয়ার পথে। মাত্র ৬১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক জানিয়েছেন, ভোট গণনা শেষে লন্ডনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়বেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস ও বিচারমন্ত্রী অ্যালেক্স চক হেরেছেন। তাঁরা কনজারভেটিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা। উভয়ে লেবার পার্টির প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন। শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগান লিবারেল ডেমোক্র্যাটসের প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। এছাড়াও হাউস অফ কমন্স এর নেতা পেনি মর্ডান্টও নির্বাচনে হেরে গেছেন। তিনি হাউস অব কমন্সের নেতা।
ব্রিটেনের রাজনীতিতে ১৪ বছর ধরে চলা অস্থিরতায় যবনিকা পড়তে চলেছে। মানবাধিকার আইনজীবী এবং অতি উঁচুমানের সরকারী কুশলী স্টার্মার দলকে অতি বামপন্থী অবস্থান থেকে আরও বেশি মধ্যপন্থী অবস্থানে নিয়ে গেছেন। ব্রিটিশ জনতা সেই পরিবর্তনকে বিপুলভাবে সমর্থন করছেন।
প্রসঙ্গত স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। জানা গেছে এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যা বৃটেনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। ৩১৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৫৯ জন।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া লেবার পার্টিকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হবে। জানা গেছে,৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।