ব্রণর সমস্যা !পুজোর মধ্যে ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন কি ভাবে ?

news bazar24 : ব্রণর সমস্যায় ভোগেননি, এমন মেয়ের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই খুব কম এমনকি ছেলেদেরও একটা বয়স এ এই সমসসায় ভুগতে দেখা যায় । অনেকের একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে ব্রণ শুধুমাত্র তৈলাক্ত ত্বকের কারণে হয়ে থাকে ।কিন্তু না ত্বকের ধরণের উপরে  নির্ভর করে না৷ পরিবেশ, পরিচ্ছন্নতার , সঠিক যত্নের অভাবে, হরমোনের তারতম্যের কারণেও ব্রণ হয়৷ তবে যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, তাঁরা ব্রণর সমস্যায় বেশি ভোগেন৷ অতিরিক্ত ব্রণর কারণে ত্বকের উজ্জলতা নষ্ট হয়ে জায়। ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পরেও বিশ্রী দাগছোপ থেকে যায় অনেক সময়৷  ব্রণ সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও তার উত্তর আমরা আলোচনা করলাম  মেনে চলতে পারলে ব্রণর সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন!!

ব্রণ শুকিয়ে যাওয়ার পর কালো দাগ থেকে যায় দীর্ঘ সময় ধরে ?

গর্তও তৈরি হয় অনেক সময়৷ এই সব বিশ্রী দাগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব একনজর এ দেখে নিন-

পুরোনো ব্রণর দাগ তোলা একটু কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কিছু নিয়ম মানতে হবেঃ

    রোজ রাতে ব্রণর দাগগুলোর উপরে কোজিক অ্যাসিড আর ভিটামিন সি যুক্ত ক্রিম লাগান। আর তার সঙ্গেই একদিন অন্তর লাগাতে হবে রেটিনল ক্রিম। ব্রণর দাগ বা গর্ত উঠে যায় টিসিএ বা রেটিনল যুক্ত কেমিকাল পিল করালেও । সে ক্ষেত্রে ছয় থেকে আটটা সেশন নিতে হবে। রোদ একদম এড়িয়ে চলুন। ছাতা ব্যবহার করুন  ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি স্কিন ড্যামেজ এর অন্নতম কারন ।আর কখনওই ব্রণয় হাত দেবেন না বা খুঁটবেন না। প্রতিদিনের খাবারে প্রচুর ভিটামিন সি রাখুন। অথবা বিকল্প হিসেবে রোজ 1000 মিলিগ্রাম ডোজ়ে  ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন, তাতে ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকোবে, দাগও কম হবে।

মুখের টি-জ়োন খুব তেলতেলে। সারা বছরই কপালে আর নাকের দু’পাশে অনেক ব্রণ ওঠে। কী করলে ব্রণ কমবে?

যাঁদের ত্বক এমনিতে স্বাভাবিক কিন্তু টি-জ়োন তৈলাক্ত, তাঁরা মুখ ধোওয়ার অভ্যাস করুন দিনে দু’বার স্যালিসাইক্লিক অ্যাসিড যুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে । কপাল ও নাকসহ মুখের তেলতেলে অংশে 2.5 শতাংশ বেনজ়ল পারঅক্সাইড যুক্ত ক্রিম একদিন অন্তর একদিন রাতে লাগাবেন। ব্যবহার করুন ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজ়ার । কখনও মেকআপ করলে ভালো করে না তুলে ঘুমিয়ে পড়বেন না। সম্ভব হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে মাসে একদিন মুখের টি-জ়োনে মাইক্রোডার্মাব্রেশন করিয়ে নিতে পারেন। তাতে মুখের মৃত কোষ উঠে যাবে, ত্বক এক্সফোলিয়েট করাও হবে।

ব্রণ উঠলে সঙ্গে খুব ব্যথাও হয়৷ কী করলে ব্যথাটা কমানো যাবে?

ব্রণয় ব্যাকটিরিয়া বা অন্য কারণে সংক্রমণ এর কারণে ব্যথা হতে পারে৷ ব্রণয় অযথা হাত দেবেন না বিশেস করে নোংরা হাত।খুঁটবেন না৷ বরফের কমপ্রেস নিলে ব্যথার বোধ কিছুটা কমবে৷ ওভার দ্য কাউন্টার ব্রণর ক্রিম লাগালেও উপকার পাবেন৷ টাটকা চন্দনবাটা ব্রণর উপর লাগালেও ব্রণ ভিতর থেকে শুকিয়ে গিয়ে ব্যথা কমে যাবে৷ নিমপাতা ধুয়ে গরমজলে ফুটিয়ে সেই জল ঠান্ডা করে মুখ ধুয়ে নিন৷ সংক্রমণ কমবে৷ ।প্রত্যেক বার ত্বকে হাত দেওয়ার সময় হাত পরিষ্কার করে তবেই দেবেন।

কিছুদিন হল আমার চিবুকে আর দু’ ভুরুর মাঝখানে কয়েকটা লাল লাল দাগ দেখতে পাচ্ছি। এগুলো কি ব্রণ?

মুখে লাল দাগ নানা কারণে হতে পারে৷ অ্যালার্জি এর কারনেও হতে পারে। পোকামাকড়ের কামড় থেকেও লাল দাগ হতে পারে। রোদে পুড়ে গিয়েও অনেক সময় লাল দাগ দেখা যায় বিশেষ করে সেনসিটিভ স্কিন এ ।মুখে কোনও নতুন প্রডাক্ট ব্যবহার করেছেন কিনা একবার চেক করে নিন । পোকামাকড়ের কামড় থেকেও লাল দাগ হতে পারে। আবার এই দাগগুলো একধরনের ব্রণ হওয়াও বিচিত্র নয়। দাগগুলো নিজে থেকে না কমলে কোনও ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আর এই মাঝের সময়টায় সেটাফিল ক্লেনজ়িং লোশন বা অন্য কোনও কোমল ক্লেনজ়ার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। সঙ্গে কোনও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ট্যাবলেটও খেতে পারেন। এই সময় মুখে কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করবেন না, আর সানস্ক্রিন লাগিয়েই বাইরে বেরবেন।