news bazar24: জুলাই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলে ঠিক কত মানুষ মারা গেছে বলে আপনার অনুমান ? ৩০০, ৫০০, ৭০০? না, মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করেছে যে সেই অগ্নিদগ্ধ পরিস্থিতিতে এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পুলিশের পদক্ষেপের কারণে চার শতাধিক শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। তাদের কেউ একটি চোখ হারিয়েছেন, কারও দুটি চোখ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম রিপোর্ট করেছে যে নুরজাহান বেগম শুধুমাত্র আহত বিক্ষোভকারীদের সাথেই নয়, হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় আহত পুলিশ সদস্যদের সাথেও কথা বলেছেন। তিনি তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, অনেক পুলিশ কর্মকর্তার মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েছে। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

নুরজাহান বেগম বলেন, “কয়েকজনের পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে এমনকি তাদের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা সঠিক চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে চিকিৎসকদের একটি দল আনতে বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা বলছি। চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বন্ধের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ সহিংস রূপ নেয়। পরে এ আন্দোলন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করা হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং ভারতে চলে যান। বাংলাদেশে তখন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।