বন্যারোধে দুর্গতদের নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সাথে আলোচনা সাংসদ খগেন মুর্মুর

Newsbazar24:মালদার রতুয়ার মহানন্দটোলা, বিলাইমারির বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে। এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া। এখনো বহু মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। প্রতি বর্ষাকালেই এখানে এই চেনা ছবি দেখা যায়। মানুষের প্রশ্ন প্রশাসন কোথায়? দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগ দেখা যায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ সেখানকার মানুষের।
এবারে এই দুই এলাকার বন্যা দুর্গতদের নিয়ে নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার আবেদন, বিহারের বাঁধ আরও সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রসারিত করলে প্রতি প্রতি বছর বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবেন মহানন্দটোলা, বিলাইমারির বাসিন্দারা। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর খগেন মুর্মু জানান, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেন তিনি অতি দ্রুত বিহারের যতটুকু আছে তার স্থায়ী সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন যাতে করে মহানন্দা তোলা বিলাইমারি সহ বিভিন্ন এলাকা উপকৃত হয় ।
প্রসঙ্গত বিহারের কাটিহার জেলার লাগোয়া মালদহের রতুয়ার মহানন্দটোলা, বিলাইমারি এলাকা।
এ বিষয়ে খগেন মুর্মু জানান, এলাকাবাসীর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, বিহার সরকার বন্যা রোধের জন্য কাটিহার জেলার ভবানীপুর পর্যন্ত বাঁধের কাজ শেষ করেছে। ওই বাঁধ যদি আরও সাড়ে তিন কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত করে মানিকচকের গদাই চর পর্যন্ত করা হয় তাহলে বন্যার থেকে রেহাই পাবে এলাকার মানুষ ।’ তিনি বলেন, ‘গত শনিবার বিষয়টি নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সাথে আলোচনা হয়।এই আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওই রাজ্যের জল সম্পদ মন্ত্রী, রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। তিনি বিহারের অংশটুকু দ্রুত সার্ভে করার নির্দেশ দিয়েছেন তার আধিকারিকদের। এখন দেখার কবে এই কাজ শুরু হয়।