Friday , 8 July 2022 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

গল্প : ভূতের কাণ্ডজ্ঞান

প্রতিবেদক
Sankar Chakraboty,Admin
July 8, 2022 1:17 pm

গল্প : ভূতের কাণ্ডজ্ঞান    লেখক : এন.কে. মণ্ডল

খুলিয়া প্রবেশ করিল স্বকক্ষে। অন্ধঁকারে ভরিয়া গিয়াছে রহিমের শয্যাকক্ষ। স্বগাত্র জামার পকেট হইতে চকমকি বাহির করিয়া দ্বিতীয় লণ্ঠন জ্বালিয়া চৌকির উপর বসিয়া গেলো। দক্ষিণ দিক থেকে সুন্দর বাতাস আসিতেছে। এমনতিতেই গরমকাল। প্রচণ্ড গরম পড়িতেছে। তবে মাঠের প্রান্তে গৃহ হওয়ায় সেদিক হইতে রহিমের বেশ আরামের জীবন চলিতেছে। শোনা যায় মাঠের প্রান্তে গৃহ হইলে সুখ শান্তিতে থাকা যায়। সেই জন্যই রহিম মাঠকেই প্রাধান্য দিয়ে গৃহ করিয়াছে। আরো একটি কারণ রহিয়াছিল। তাঁহার পত্নি অন্যমনষ্ক ব্যাক্তি অর্থাৎ শান্তিপ্রিয় মহিলা হওয়ায় মাঠে যেতে বাধ্য করিয়াছে রহিমকে। মাঠে পাশাপাশি কয়েক বাসার পাড়া রহিয়াছে। তা প্রায় পাঁচজনের মত হইবে। ফাঁকা ফাঁকা বা দুরত্ব বজায় রাখিয়া বাসা করিয়াছে পল্লির কিছু শিক্ষিত ব্যাক্তিরা। কেন না পাড়াতে সর্বদা পরচর্চা পরনিন্দা হইয়া থাকে।বড্ড নানান আলোচনা হইয়া থাকে। ইহার জন্যই কয়েকজন মাঠে চলিয়া গিয়াছে। রহিমের পত্নি গ্রামের প্রথম পাড়াতেই বাবা মায়ের বাড়ি হওয়ায় সেখানে গিয়াছে আজ। দ্বি প্রহর হইতে একবার পত্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ হইয়াছিল। সে বলিয়াছে বাড়ি ফিরতে রাত্রি হইবে। রন্ধন গৃহে খাবার ঢাকা রহিয়াছে, তা খেয়ে নেওয়ার জন্য বলিয়াছে রহিমকে। আলুপোস্তা ও পাকাল পোনা মৎসের ঝোল রাখিয়াছে তাঁহার খাইবার জন্য। সে রাত্র হইলেই গৃহে প্রবেশ করিবে। চাবির কথাও বলিয়াছিল। কোথায় চাবি রাখিয়েছে। কিছু মহুর্ত বসিয়া থাকিবার পরেই চৌকিতে চিৎ  হইয়া শুয়ে পড়িল। জানালা খোলা থাকিবার জন্য বায়ু প্রবেশ করিতেছে রহিমের গৃহে। রহিম একটি বালিশ নিয়া মস্তকের নীচে রাখিল। হস্তদ্বয় কপালে রাখিয়া কি যেন ভাবিতে লাগিল। কিছু একটা ভাবিতে ভাবিতেই আবার পূর্ব বিবাদে লিপ্ত হইয়াছে। হটাৎ করিয়া রহিম লণ্ঠন নিয়ে বাহির হইয়া পড়িল স্ব গৃহের আঙ্গিনায়। মুখে নাই কোনো প্রকার কথা। তখনো চলিতেছে বিবাদ। নিশ্চুপ হইয়া শুনিতেছে রহিম। খুঁজিতে লাগিলেন। কোথায় হইতেছে বিবাদ। পাড়ার কাহারও গৃহে হইতেছে না। সে বুঝিতে পারিল। পাঁচিলের পাশে বড় লেবুগাছের কাছে যাইতেই জোরালো হচ্ছে বিবাদের কাহিনি। তৎক্ষনাৎ রহিম লেবু বৃক্ষের ডাল হইতে তাঁকিয়াছে, তখনই সে দেখিতে পাইলো কয়েকজন ভূতের ঝামেলা হইতেছে। ইহা দেখিয়া রহিম ভূত ভূত বলিয়া ভীমরি খাইয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়িল। ভূত অর্থাৎ কয়েকজন পেত্নী ভূত বিবাদে লিপ্ত হইয়াছিল। তাহারা ভূত ভূত শব্দ শুনিয়া নীচের দিকে নয়ন দৃষ্টিপাত করিল। দেখিতে পাইল যে অত্রস্থানে এক পুরুষ মানব চিৎকার করিয়া পড়িয়া গিয়াছে। তাহারা অতিসত্বর জানিতে পারিয়া রহিমকে তুলিয়া নিয়া চলিয়া দৃশ্যহীন হইয়া গেল। নিস্তব্ধ সমস্ত গৃহ। কয়েক ঘন্টা অতিক্রম করিবার পরে রহিমের পত্নি বাসায় উপস্থিত হইলেন। দরজা জানালা খোলা রহিয়াছে। টেবিলে খাবার ঢাকা রহিয়াছে। খাদ্য খাই নাই সে। প্রদীপ জ্বলছে গৃহের সামনে। কোথাও হয়ত গিয়েছে। রহিমের পত্নি ভানু বিবি কক্ষে প্রবেশ করিয়া শয্যায় গেল। পতি আসিয়া শয্যা যাবে বলিয়া রহিমের কক্ষ হালকা খুলিয়া রাখিয়াছে। রাত্রিযাপন আরামের সহিত কাটিয়া গেল ভানুর। প্রভাতে উঠিয়া গৃহের কর্ম করিতেছে। অন্যদিকে কোনো খবর তাহার নেই। আঙ্গিনা ঝাড়ু দিতে গিয়ে দেখিতে পাইল লণ্ঠন। লণ্ঠনটা বাতাবি লেবু বৃক্ষের গুড়ির কাছ হইতে পাওয়া গেল। ভানুর মনে সন্দেহ উদয় হইল। কি ব্যাপার। এইস্থানে কোথায় হইতে লণ্ঠন আসিল। তাহলে কি….। ঝাড়ু দিয়ে প্রবেশ করিল পতির কক্ষে। না কই কোথায়। গতকালের খাদ্য রহিয়াছে ঠিকমতো যথাস্থানে। ভানুর মনে ভীষণ চিন্তার জন্ম উদয় হইল। কোথায় গিয়াছে সে। আমারে বলিতে পারিত। কোনো খোঁজ নেই। পাড়ার জামিল ভাইয়াকে ডাকিয়া সমস্ত কিছু বা পূর্বের ঘটনা খুলিয়া কহিল। মজার ব্যাপার তো ভাবিজান। ভাইয়া কোথায় উধাও হইয়া গেল। এক এক করিয়া পাড়া ছাড়িয়া সমস্ত গ্রামে ছড়িয়া পড়িল রহিম উধাও হওয়ার কথা। গ্রামের মানুষ কেহ তাঁহার খোঁজ খবর দিতে পারে নাই। কোথায় গেল রহিম। একদিন দুইদিন পার হইয়া গেলো। কোনো খবর নেই রহিমের। ভানুমতী দু:খে দু:খে রহিয়াছে। তিনি খুব ভদ্র ও সুমহিলা।ওদিকে রহিম পড়িয়া পড়িয়া নিদ্রা দিতেছে। পেল্লায় মহলে রহিয়াছে। নানান কারুকার্য দ্বারা নির্মিত ভবন। অত্র স্থানে প্রচুর পরিমাণে রহিয়াছে পুস্পের কচি কচি বৃক্ষ । সমস্ত স্থানটি চকচকে তকতকে। আবার দূর্বা দ্বারা বাগান রহিয়াছে। তাহার দৃশ্য দেখিবার মত। মন মাতিয়ে যাচ্ছে চারিদিকে প্রহরীরা সর্বক্ষণ পাহারা দিতেছে। চারিদিক উঁচু উঁচু পাঁচিল দিয়া বেষ্টিত রহিয়াছে। বাগানে মজার মজার পক্ষিতে গান গাইতেছে। দারুণ পরিবেশ। শান্ত পরিবেশ। মামদো দা একপা একপা করিয়া আসিতেছেন রহিমের নিদ্রাস্থানে। নাকি সুরে বলিয়া উঠিল, রহিম দা। ও রহিম দা। ওঠো ওঠো। রাজা মশাই তলব করিয়াছে তোমারে। যাইতে হইবে। মামদোদার  আওয়াজে নিদ্রা হইতে উঠিয়া আঁখি কচলাইতে লাগিল। এবং কহিল, এখন আমায় তলব করিয়াছে কিসের জন্য। আজ্ঞে শাকচুন্নিদের বিচার হইবে। তোমারে তলব করিয়াছে। জলদি করিয়া চলো। রহিম চটজলদি  শয্যা ত্যাগ করিয়া মহারাজের সভায় উপস্থিত হইল। পেন্নাম রাজা মশাই। মহারাজ কোনো কথায় কহিল না। শাকচুন্নি, মেছো পেত্নি ও বিউটি  দাঁড়িয়ে রহিয়াছে। রাজা মশাই ও সদস্যরা নিশ্চুপ রহিয়াছে। মহারাজার হস্তদ্বয় কোমল গালে রাখিয়া কি যেন ভাবিতেছেন। এ যেন কাহারো শোক পালন হইতেছে। একদম নিরবতা। রাজা মশাই কি হইয়াছে আপনার আমারে কহেন। রাজা মশাই নিশ্বাস ছাড়িয়া কহিল। আর কি। তোমাকে নিয়েই যতসব ঝামেলা। তোমারে ওদের মনে ধরেছে। ওরা সকলে মিলে তোমারে বিবাহ করিতে চাই। আমি কিভাবে বলি। এটাতো অসম্ভব ব্যাপার। শাকচুন্নি মেছো পেত্নী ও বিউটি সকলে মিলিয়া বিবাহ করিবে বলিয়া আমার নিকটে দরখাস্ত করিয়াছে। তুমি ওদের একজন কে কি বিবাহ করিবে। না না আমারে আপনারা কথা দিয়াছেন আগামীকাল আমার গৃহে রাখিয়া আসিবেন। আমি বিউটিকে বিবাহ করিতে পারি, তবে আমি ইহজগৎ হইতে থাকিতে পারিব না। মাঝে মাঝে আসিব। সেও আমার বাড়িতে যাইবে। যদি বিউটি রাজি হইয়া থাকে তবে বিবাহ করিতে আমার কোনো আপত্তি নহে। বিউটি মত পোষণ করিয়া ঘাড় নাড়িয়া সম্মতি জানাল। মহারাজ রহিম কে একটি অদ্ভুত শক্তি প্রদান করিয়া বিউটির সহিত বিবাহ সম্পুর্ন করিয়া দিলেন। মহারাজ তাহাকে অদ্ভুত শক্তি পুরস্কার দিয়ে দিলেন। বিউটি  পরি রাজের কন্যা। পরি রাজের কন্যা কিন্তু ভূত মহারাজের কাছে পালিত। শশুর মস্ত পরিরাজ । কাজেই সবার উপস্থিতি হইতে বিবাহ দিয়া পরি রাজের প্রাসাদে কন্যা ও জামাতা সহ পাঠিয়া দিলেন। পরিরাজ খুব খুশি ছিলেন। নতুন জামাতাকে পাইয়া সারা রাত্রি নানান বাঁজি ফুটাইয়া আনন্দ করিল। আজ রহিমের দ্বিতীয় ফুলসজ্জার রাত্রি। সেই প্রথম বিয়ের রাত্রে ফুলসজ্জা করেছিল। আর আজ সুন্দরী পরীর সঙ্গে। শাকচুন্নি ও মেছো পেত্নীর সঙ্গে তাহার দোস্তি ছিল। ভূত মহারাজের পালিত কন্যা বিউটি। সে আসলে পরী ছিল। সেজন্যই বিউটি পরীকে বিবাহ করিতে সম্মতি জানিয়েছিল। কক্ষটা নানান রঙের পুস্প দিয়া সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ফুলসজ্জা বলিয়া কথা। ফুলসজ্জায় শুয়ে শুয়ে পরীকে সুন্দর সুন্দর গল্প বলিতেছে। রোমাঞ্চকর গল্প, আবার কিছু সেক্সের গল্প রহিয়াছে। বিউটির প্রচণ্ড উত্তেজনায় জ্বলে উঠিতেছে। রাত্রি যাপন করিয়া সকালে গৃহের উদ্দেশ্যে রওনা বা পাড়ি দেবে। বিউটি রহিম কে একটা আঙটি পরিয়া দিল। পরিরাজ কয়েক বস্তা স্বর্ণমোহর দিল। সকল কে বিদায় জানিয়ে স্বগৃহে এক পলকে উপস্থিত হইল। সঙ্গে কয়েকটি বস্তা রহিয়াছে। পত্নি (ভানুমতী)  রহিম কে দেখিয়া স্বজোরে ক্রন্দন করিয়া  উঠিলেন। এমন মহুর্তেই ভানুমতীর মুখে হস্ত রাখিয়া ক্রন্দন করিতে নিষেধ করিল। তিনি বস্তাগুলি দেখিয়া গৃহের ভিতরে প্রবেশ করিল। দুজনেই প্রবেশ করিল। কিন্তু বিবাহের কথা ও ওনাদের কথা পত্নিকে কহিল না। সে এক প্রকার নিষেধাজ্ঞা ছিল। স্বর্ণ মোহর গুলি গৃহের মাটি খুঁড়িয়া পুঁতিয়া রাখিল। স্ত্রীকে নানান গুলগাল কথা বলিয়া খুশি করিল।

 

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কৃষি ও ফুল বাগান

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাতসকালে ভূমিকম্পের আতঙ্কে কেঁপে উঠল শহর শিলিগুড়ি।

ফের চালু হচ্ছে ভারত-রাজশাহী রেল পরিষেবা ! মালদা- মুর্শিদাবাদ হয়ে এই ট্রেন চালানোর দাবি

Malda news :পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসায় নিহত তিন পরিবারকে আর্থিক সাহায্য জেলা প্রশাসনের

পুলিশ কর্মী স্বামীকে মধুচক্রে হাতেনাতে ধরলো স্ত্রী 

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপসারিত কুনাল ঘোষ

নির্বিচারে চলছে আম গাছ নিধন,জগৎবিখ্যাত আমের স্বাদ কি ভুলে যাবে জেলাবাসী?

ইংরেজবাজার পৌরসভার বন্যা প্লাবিত অঞ্চলে ত্রাণ বিলি জেলা প্রশাসনের

মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী বিতরণে নিম্নমানের খাদ্য ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য।

ঢাকার গাজিপুরে পোশাক কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১৬

যশ-নুসরতের নতুন ছবির শুটিং শুরু চলতি মাসেই,বললেন ছবির পরিচালক বাবা যাদব