Friday , 21 July 2023 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

চোখ ওঠার পর ! ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে ভাবে মুক্তি পাবেন , কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন ?

প্রতিবেদক
Sankar Chakraboty,Admin
July 21, 2023 8:44 pm

news bazar24:  রাজ্যের কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলা এক্সপ্রেস গতিতে ছড়াচ্ছে জয় বাংলা বা চোখ ওঠার ভাইরাস । সব জাইগাতেই শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ এই অসুখের শিকার হচ্ছেন । একজন আক্রান্ত হলে পরিবারের সবাই আক্রান্ত হচ্ছে।
এটি একটি সংক্রমণ জাতীয় রোগ । যেটি প্রায় মহামারির পর্যায়ে পৌঁছতে চলেছে ।এই রোগের ডাক্তারি ভাষায় নাম ” কনজাংটিভাইটিস’ । আমাদের রাজ্যে ও বাংলাদেশে এই রোগকে ‘চোখ ওঠা’ বা জয় বাংলা বলে। এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে ধরনের রোগ ।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চশমা, তোয়ালে, রুমাল, টিস্যু পেপার, বালিশ বা প্রসাধনী কোনো সুস্থ ব্যক্তি ব্যবহার করলে বা সামনা সামনি তাকিয়ে কথা বললেও তারাও আক্রান্ত হতে পারেন।

এক কথায় – অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও ও বর্ষার সময় নদী পুকুরে স্নান করা চোখ ওঠার অন্যতম কারণ।

চোখ ওঠার লক্ষণ ও ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিভিন্ন চিকিৎসকেরা , সংক্ষেপে এইরকম-

* কিভাবে বুঝবেন আপনার চোখ উঠেছে –

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই এই সমস্যা প্রথম বোঝা যায় । যে কোন এক চোখের সাদা অংশ বা কনজাংটিভা লাল বা টকটকে লাল দেখাবে। প্রথমে এক চোখ আক্রান্ত হয় তারপর অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে।
চোখে চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা খচখচে ভাব, চোখের ভেতরে কিছু আছে এমন অনুভূতি হবে সব সময় ।
সারাদিন ধরে চোখ থেকে জল ঝড়তে থাকবে। চোখের পাতায় পুঁজ জমে পাতা সেঁটে যাবে। চোখ খুলতে খুব সমস্যা হবে।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা খুলতে কষ্ট হয়। চোখের পাতা সেঁটে থাকে। চোখের পাতা লাল হয়ে ফুলে চোখ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে।

* ঘরোয়া চিকিৎসা

একটি পরিষ্কার তুলা বা সাদা পরিষ্কার নরম সুতির কাপড় গরম জলে ডুবিয়ে চেপে নিয়ে আলতো করে ওই কাপড় বা তুলা দিয়ে চোখের পাতা ও পাপড়ি পরিষ্কার করতে হবে।

মনে রাখবেন এই চোখ পরিস্কারের কাজ দুটি চোখের জন্য আলদা আলদা বাটিতে জল, কাপড় দিয়ে করবেন। এবং সারাদিনে বেশ কয়েকবার করতে হবে।

গরম সেঁক দেওয়ার কয়েক মিনিট পর বরফ বা ঠান্ডা জলে কাপড় ও তুলা ডুবিয়ে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে।

এই সময় চোখ কে যতটা বেশি সম্ভব রেস্ট দিতে হবে। বই পড়া , মোবাইল ঘাঁটা, কম্পুতারে কাজ করা , বা কাছ থেকে টি ভি দেখার মত কাজ বন্ধ করতে হবে।

কখন আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত?

চোখের ফোলা সাধারণত 7-10 দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়। নিম্নলিখিত উপসর্গ দেখা দিলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত:

** চোখের প্রদাহ যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে।

** চোখে বারবার ময়লা জমে।

** শিশুর বয়স ২৮ দিনের কম হলে চোখ লাল হয়।

** চোখে চুলকানির সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, অসুস্থ বোধ হলে।

** আলো দেখে চোখে ব্যথা। একে বলা হয় ফটোফোবিয়া।

** দৃষ্টিতে কোনো পরিবর্তন যেমন ঝিকিমিকি রেখা বা বিদ্যুতের ঝলকানি।

** দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলে।

* চিকিৎসা

ফোলা চোখের চিকিত্সা কনজেক্টিভাইটিসের কারণের উপর নির্ভর করে। যদি চোখ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়, তবে ডাক্তার প্রতি 4-6 ঘন্টা পর পর অ্যান্টিবায়োটিক চোখের ড্রপ এবং রাতে ব্যবহার করার জন্য একটি মলম দিতে পারেন। ভাইরাস বা অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে অ্যান্টিহিস্টামিন বা অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ, চোখের ড্রপ, মলম দেওয়া যেতে পারে। যেসব জিনিসে রোগীর অ্যালার্জি হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। যেমন ধুলো, ধোঁয়া, ফুলের অণু, ক্লোরিনযুক্ত সুইমিং পুলের জল, কিছু প্রসাধনী বা রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শ এড়ানো উচিত।

এই সময় যা করবেন বা করবেন না ? 

** দিনে কয়েকবার চোখ পরিষ্কার করুন, পরিষ্কারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।

** কোনো অবস্থাতেই চোখ ঘষে বা ঘষা উচিত নয়।

প্রতিদিন আক্রান্ত রুগির গামছা, তোয়ালে, বালিশের কভার , চশমা গরম জলে সার্ফ দিয়ে ধুতে হবে, ও রোদে শুকাতে হবে।

** হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার নাক ও মুখ ঢেকে রাখুন এবং ব্যবহৃত টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে দিন।

যারা চোখে কন্টাক্ট লেন্স পরেন তারা ,এই সময় ভুল করেও এই লেন্স পরবেন না ।

** আক্রান্ত চোখে কোনো প্রসাধনী লাগাবেন না।

**এই সময় যতক্ষণ জেগে থাকবেন কালো চশমা পরে থাকুন ।

** যদিও আইড্রপের প্যাকেটের শেলফ লাইফ এক থেকে দুই বছর, একবার খুললে 28 দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

* কখন নিজেকে অন্যদের থেকে  বিচ্ছিন্ন করতে হবে

স্কুল বা ডে কেয়ার সেন্টারে যদি এই রোগটি বেশ কয়েকটি শিশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তবে বাচ্চাদের কয়েক দিনের জন্য আলাদা করা ভাল। যাদের অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে কাজ করতে হয়, একই টেলিফোন বা কম্পিউটার শেয়ার করতে হয়, তাদের পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরে যাওয়া উচিত নয়।

* কে বেশি ঝুঁকিতে?

চোখের প্রদাহ বয়স্ক এবং শিশুদের একটি সাধারণ রোগ। শিশুরা স্কুলে বা খেলার মাঠে অন্যদের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকিতে থাকে। দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের কারণে বয়স্ক ব্যক্তিরাও এতে আক্রান্ত হন। যারা সম্প্রতি সর্দি, হাঁচি, কাশির মতো শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের চোখ ফুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। যাদের ডায়াবেটিস বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে বা যারা নিয়মিত স্টেরয়েড গ্রহণ করেন তাদের চোখের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যারা নিয়মিত বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনের মতো সর্বজনীন স্থানে যান তারা সহজেই চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হন।

মনে রাখবেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করবেন না। স্টেরয়েড ড্রপ ব্যবহার করলে সংক্রমণ আরও খারাপ হতে পারে এবং এমনকি কর্নিয়ারও ক্ষতি হতে পারে।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কলকাতা

আপনার জন্য নির্বাচিত

Malda news:কালিয়াগঞ্জে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের মালদহে দেখা করলেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান

‘’ বঙ্গবীর বডি বিল্ডিং চাম্পিয়ান সিপে’’ রাজ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করলো মালদার সৌভিক

স্কুল ক্যাম্পাসে চলছে রমরমিয়ে জুয়ার আসর, ক্ষোভ অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীদের‌।

মালদা জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে হবিবপুর ও গাজোল ব্লকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস অনুষ্ঠান পালিত হল|

দক্ষিণ দিনাজপুরে শুরু হল প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে করোনার চিকিৎসা

Malda news:কুসংস্কার দূর করে আমজনতাকে বিজ্ঞান মনস্ক করে তুলতে শিবির পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের

করণা সংক্রমণে একদিনে বিশ্বরেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের, একদিনে ১০ লাখ মানুষ আক্রান্ত।।

ইংরেজ বাজারে ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থা পরিস্কার না হওয়ায় প্রকাশ্যেই তিরস্কার সাফাই কর্মী সহ জমাদারকে

Uttar Dinajpur:জমি বিবাদ কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি মারামারি ব্যাপক উত্তেজনা, আহত মহিলা সহ বেশ কয়েকজন

Malda News :জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল